
যশোরের ডায়রিয়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না। আক্রন্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিদিন আক্রান্ত রোগী যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছে । এ পরিস্থিতিতে রোগ তত্ব ও রোগ নিয়ন্ত্রণ গবেষণা ইনস্টিটিউটের ৮ সদস্যের একটি টিম পর্যবেক্ষণ করে গেছে।
এদিকে যশোর পৌরসভা সচেতনতামূলক প্রচারণাও পরিচ্ছন্ন পানি সরবরাহের লক্ষ্যে পাইপ লাইন মেরামত শুরু করেছে। গরমের তীব্রতা বাড়া ও সুপেয় পানির সংকটের কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকরা বলছেন, বিশুদ্ধ পানি পান না করলে ডায়রিয়া হতে পারে। দূষিত বা বাসি খাবার থেকেও এই রোগ ছড়াতে পারে। গরমের কারণে মানুষের পানির চাহিদা বেড়েছে। সেই তুলনায় অনেকেই হয়তো বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছেন না। এ কারণে তারা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারেন।
প্রতি বছরই শুকনো মৌসুমে দেশের অনেক অঞ্চলে কমবেশি ডায়রিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটতে দেখা যায়। সাধারণত এপ্রিল মাসের শুরু থেকে এই রোগ বাড়তে থাকে। মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত এর প্রকোপ থাকে। গত বছর ডায়রিয়া উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছে ছিলো। সেবার ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বেশি ছিলো।
ডায়রিয়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। গুরুতর অসুস্থরা যেন হাসপাতালে চিকিৎসা পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। হাসপাতালে আইভি স্যালাইনের সংকট দূর করতে হবে অবিলম্বে। বাড়িতে যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা যেন নিয়ম মেনে খাবার স্যালাইন খায়, বিশুদ্ধ পানি পান করে সে বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। আক্রান্ত এলাকার মানুষ যেসব উৎস থেকে পানি পায় তা কতা নিরাপদ সেটা দেখতে হবে। পানি পান ও গৃহস্থলিসহ সব কাজে মানুষ যেন বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করে সে বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। নলকূপ ভিন্ন অন্যান্য উৎস থেকে পাওয়া পানি ফুটিয়ে অথবা বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট দিয়ে নিরাপদ করে ব্যবহার করা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে।
স্বাআলো/এসএস
.
