বসত ঘরের উপর বাঁশ কাটাকে কেন্দ্র করে কেশবপুরের জাহানপুর গ্রামের ইব্রাহিম শেখ নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় কেশবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার জাহানপুর শেখ পাড়া এলাকায় মৃত বাশিকার সরদারের ছেলে সুলতান সরদার ও আলতাফ সরদার প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকার নিরীহ মানুষদের বিভিন্নভাবে হয়রানি, নির্যাতন ও মারধর করে আসছেন।
শেখপাড়া ও সরদার পাড়া এলাকার প্রায় সহস্রাধিক মানুষ বসবাস করেন। তাদের একমাত্র চলাচলের রাস্তার উপর মাটি ফেলে রেখে চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে তারা।
এদের মধ্যে বেশিরভাগ ভ্যান চলিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। রাস্তায় অর্ধেক জুড়ে মাটি রাখার কারণে ভ্যান নিয়ে তারা বাড়িতে যেতে পারেন না। এছাড়াও হোসেন শেখের ছেলে ইব্রাহিম শেখের বসত বাড়ির উপর সুলতান শেখের ঝাড়ের বাশ পড়ে টালি ভেঙ্গে যাচ্ছে।
বাঁশ কাটতে বললেও তারা কাটেনি। নিরুপায় হয়ে রবিবার ইব্রাহিম শেখ তার বসত বাড়ির উপর উপড়ে পড়া বাশ কেটে দেয়। খবর পেয়ে ওইদিন সন্ধ্যার পর ইব্রাহিম শেখকে জাহানপুর বাজারে সুলতান সরদার ও আলতাফ সরদার এলোপাতাড়ি মারপিট করে হত্যার চেষ্টা করে।
এলাকাবাসী আশঙ্কা অবস্থায় ইব্রাহিম শেখকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। এবিষয়ে কেশবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
জাহানপুর গ্রামের আবুল কাশেম সরদার ও আব্দুল জলিল সরদার বলেন, হোসেন শেখের জায়গার মধ্যে সুলতান ও আলতাফ গাছ লাগিয়ে রেখেছে। একাধিকবার সালিশ করে গাছ অপসারণ করতে বললেও তারা সেটা করেনি। উল্টো এলাকাবাসীদের বিভিন্ন সময়ে মারপিট করে চলেছে।
এ বিষয়ে জাহানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিনা বেগম বলেন, সুলতান সরদার ও আলতাফ সরদার স্কুলের বাচ্চাদের সাথে বাজে আচরণ করে। স্কুলের মাঠে খেলা করলে বাচ্চাদের মারধর করতে আসে। মাটি রেখে স্কুলে আসার রাস্তাটি প্রায় বন্ধ করে রেখেছে। মাটি সরাতে বললেও আজ কাল বলে এখনো সরায়নি যে কার্রেন শিশুদের স্কুলে আসতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মফিজুর রহমান বলেন- এবিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি, তদস্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্বাআলো/এস
.
