সুন্দরবনের খাল ও নদীতে মাছ, জলজ ও বন্যপ্রাণীর বংশবৃদ্ধি, বিচরণ এবং প্রজনন কার্য্যক্রমের সুরক্ষায় ১ জুন থেকে পরবর্তী ৩ মাসের জন্য সুন্দরবনে মাছ শিকার ও সকল ধরনের পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ সময় সাধারণ মানুষের চলাচলসহ সুন্দরবন সংলগ্ন নদী-খালে মাছ শিকারও বন্ধ থাকবে।
বাগেরহাটের পূর্ব-সুন্দরবনের চাদঁপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার তার রাজস্বের দিকে না তাকিয়ে সুন্দরবন ও এতে বিচরণকারী বন্যপ্রাণী এবং বিভিন্ন খালের মাছ রক্ষায় এ উদ্যোগ নিয়েছে। এ জন্য ১ জুন ২০২৩ থেকে পরবর্তী ৩ মাস পর্যন্ত সুন্দরবনে পর্যটক ও জেলেদের প্রবেশ সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। বিধি-নিষেধ অনুযায়ী ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে মাছ ধরতে পারবেন না জেলেরা। পাশাপাশি ঢুকতে পারবেন না কোনো পর্যটক। এ সময়ের মধ্যে কোনো নৌযান সুন্দরবনের অভ্যন্তরের খালগুলোতে চলাচলও করতে পারবে না বলে জানানো হয়।
বন বিভাগ ও মৎস্য অফিসের তথ্যনুযায়ী, এ ৩ মাস সুন্দরবনে ২৫১ প্রজাতির মাছের প্রজনন মৌসুম তাই বন বিভাগ থেকে জেলেদের জন্য সব ধরনের পরমিট বন্ধ রাখা হবে। বনের নদী ও খালে নৌযান চলাচল করলে মাছের ডিম ছাড়তে সমস্যা হবে তাই সব ধরণের নৌযানও বন্ধ থাকবে। এছাড়া বনে ৩১৫ প্রজাতির পাখি, ৩৫ প্রকারের সরীসৃপ, ৪২ প্রকারের স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে। এখন তাদের প্রজনন মৌসুম চলছে। এসব প্রাণীর মধ্যে রয়েছে বাঘ, হরিণ, শুকর, বানর, কুমির, ডলফিন, ভোঁদড়, বন বিড়াল ও মেছো বাঘসহ অন্যান্য প্রাণী। সুন্দরবনে প্রবেশ বন্ধের পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য করমজল, হারবাড়িয়া, কটকা, কচিখালী, নিল কমল, দুবলা, আলোর কোল, হিরণ পয়েন্ট, টাইগার পয়েন্ট ও কলাগাছিয়াসহ ১১টি স্পটে বন্ধ হচ্ছে পর্যটক প্রবেশ।
বাগেরহাট পুর্ব-সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের সার্বিক সুরক্ষায় বর্তমান সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা বাস্তবায়নে শুধু সুন্দরবন বিভাগ নয় সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোহিতা থাকতে হবে।
স্বাআলো/এসএস
.
