পেঁয়াজের পর বাড়ছে আলুর দাম। এক মাসের ব্যবধানে সব জাতের আলুর কেজিতে দাম বেড়েছে ১৫-২০ টাকা। এদিকে দাম আরো বাড়বে সে আশায় হিমাগার থেকে আলু বের করছেন না কৃষক-ব্যবসায়ীরা।
খুচরা বিক্রেতাদের মতে, কেউ কেউ বাড়িতেই আলু মজুত রেখেছেন। বিক্রি করছেন না। আবার অনেকে হিমাগারে মজুত রাখা আলু বের করছেন না। ফলে দিন দিন আলুর দাম বাড়ছে। ‘কিছুদিন আগেও যে আলু ২০-২৫ টাকা কেজিতে পেয়েছি, সেই আলু এখন ১৫-২০ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। পেঁয়াজের মতো আলু নিয়েও ভোগান্তিতে পড়ছি’
জানা যায়, মাস খানেক আগেও খুচরা বাজারে কার্ডিনাল ও স্টিক (লাল) আলু প্রতি কেজি ২০-২৫ টাকা, ডায়মন্ড (সাদা) ১৭-২২ টাকা, দেশি পাকরি (লাল) ২৫-৩০ টাকা এবং রুমানা পাকরি ৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, কার্ডিনাল ও স্টিক আলুর কেজি ৩৫-৩৬ টাকা, ডায়মন্ড ৩৮, দেশি পাকরি ৪০-৪৫ ও রুমানা পাকরি ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক মাসের ব্যবধানে সব আলুর দাম কেজিতে বেড়েছে ১৫-২০ টাকা পর্যন্ত।
এদিকে হিমাগার মালিক সমিতির তথ্যমতে, মার্চের শুরু থেকে এপ্রিল পর্যন্ত জয়পুরহাটের ১৬ হিমাগারে ৬৫ কেজি ওজনের ২০ লাখ বস্তা আলু সংরক্ষণ হয়েছে। ১ জুন (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত আলু বের হয়েছে গড়ে দেড় লাখ বস্তা, যা মোট মজুতের ৮ শতাংশ। হিমাগারে উৎপাদনের ৯২ শতাংশ মজুত আছে। উত্তোলনের শেষ সময় রয়েছে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত।
আলুর দাম বাড়ার বিষয়টি স্বীকার করেন জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা রতন কুমার রায়। তিনি বলেন, যেসব ব্যবসায়ী আলুর দাম নিয়ে কারসাজি করছেন, তাদের তালিকা করে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ইফতেখার আলম বলেন, জেলায় অভিযান অব্যাহত আছে। ভবিষ্যতে আরো জোরদার করা হবে। যারা সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্বাআলো/এসএস
.
