সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় ট্রাকের সঙ্গে পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় আরো দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে সকালের ওই দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ জনে। এতে আহত আরো ১০ জন। তাদেরকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (৭ মে) ভোরে দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজার এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের হারিছ মিয়া (৫০), সৌরভ (২৫), সাধু মিয়া (৪০), তায়েফ নুর (৪৫), সাগর (১৮), রশিদ মিয়া (৪০), দুলাল মিয়া (৫৫), বাদশা মিয়া (৪৫)। বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি। আহত হয়েছেন আরো অন্তত ১০ জন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামান জানান, দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলেই ১১ জন মারা যান। আর হাসপাতালে আনার পর আরও চারজন মারা যান বলে জানিয়েছেন ওসমানী হাসপাতালের ফাঁড়ির ইনচার্জ জুয়েল আহমদ।
দুর্ঘটনার পর নাজিরবাজারের দুদিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের তৎপরতায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, পিকআপে (সিলেট-ন ১১-১৬৪৭) করে দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের ৩০-৩৫ জনের মতো নির্মাণ শ্রমিক সকালে কাজের উদ্দেশ্য একটি পিকআপে করে সিলেটের পার্শ্ববর্তী উপজেলা ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজারে যাচ্ছিলেন। পিকআপটি দক্ষিণ সুরমা উপজেলার নজিরবাজার এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ এবং সিলেট ও ওসমানীনগর থেকে ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় হতাহতদের উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সিলেটের উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামান বলেন- ‘খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলেই ছুটে যাই এবং ১১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করি। আমরা আসার আগে স্থানীয়রা কয়েকজন আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে পাঠায়। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
স্বাআলো/এসএস
.
