যশোরের চৌগাছায় ৩ কেজি ২৩ গ্রাম ওজনের ২৬টি সোনার বার উদ্ধার করেছে বিজিবি । ওই সোনার দাম তিন কোটি দুই লাখ ত্রিশ হাজার টাকা বলে বিজিবি দাবি করেছে।
৫ জুন সকালে উপজেলার শাহাজাদপুর সীমান্তের কাবিলপুর গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিক মোড়ে চোরাকারবারীদের চ্যালেঞ্জ করে এই সোনার বার জব্দ করে শাহাজাদপুর বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা। এসময় চোরাকারবারীরা পালিয়ে যায়। পরে মাঠের মধ্যে কর্দমাক্ত অবস্থায় গামছা মোড়ানো একটি প্যাকেট উদ্ধার করে তার ভেতর ওই সোনা পাওয়া যায়।
চোরাচালনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কড়াকড়ি ব্যবস্থাও নিলেও তা থেমে নেই। বিভিন্ন কৌশলে এক শ্রেণির মানুষ এ অবৈধ কাজটি করেই যাচ্ছে। তাদের আচরণ দেখলে মনে হয় তারা সব কঠোরতাকে ড্যামকেয়ার ভাব দেখাচ্ছে।
সোনা চোরাচালানে মূল হোতারা থাকে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তারা টাকার বিনিময়ে লোক দিয়ে পাচার করেন। চৌগাছার পালিয়ে যাওয়া ওই দুইজনই কোটি টাকার মালিক নয়। তারা ওই সোনা বহনকারী। এর মূল হোতা থাকে পর্দার অন্তরালে। যাদেরকে আমরা সমাজপতি হিসেবে মান্য করি। তারা মঞ্চ দখল করে নীতি কথা আওড়ায়। তাই বলে আমরা এই সোনা বহনকারীদের দুধ দিয়ে ধোয়া বলছিনে। কারণ পেশা তো আরো আছে। সেসব ভালো পেশা ছেড়ে এ পথে কোন ভালো মানুষ আসতে পারে না।
চোরাচালান থেমে নেই এ জন্য বলছি যে, প্রায় শোনা যায় পাচার করার জন্য আনা সোনা ধরা পড়েছে। যারা এর সাথে জড়িত তারা এতটাই অপ্রতিরোধ্য যে বার বার ধরা পড়লেও তারা থেমে নেই। আমরা মনে করি অহেতুক চুনো পুটির পেছনে দৌড়িয়ে চোরাচালান দমনের কাঙ্খিত সফলতা পাওয়া যাবে না, যতক্ষণ না এর হোতাদের দমন না করা যাবে। যারা দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে, মানুষের অকল্যাণে চোরাচালান ব্যবসা করেও সমাজের মধ্যমণি হয়ে হয়ে বসে আছে তাদের কালো হাত আগে ভাঙতে হবে। পালের গোদাকে সোজা করতে না পারলে অন্য কেউ সোজা হবে না। একজন ধরা পড়বে তো শতেকজন উদয় হবে। বেকার জীবনে লোভনীয় পরিশ্রমিকে কাজের সুযোগ পেলে তারা এদিকে ঝুঁকবেই। এ কারণে বিনিয়োগকারীদের পিঠে বাড়ি পড়লে চুনোপুটি চোরাব্যবসায়ীদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাবে না। যদি পালের গোদারা নির্বিঘ্নে থাকে তা হলে শত প্রতিকুলতার মধ্যেও চোরাচালান চলতে থাকবে। চোরাচালানীরাতো হিতাহিত জ্ঞান শূন্য মানুষ নামের অদ্ভুত প্রাণি। তারা চোরাচালান করতে গিয়ে ধরা পড়লে তাদের জীবন শেষ এ কথাটি তাদের মাথায় থাকে না। এ ক্ষেত্রে আমাদের কথা হলো চোরাচালানের শীর্ষের শক্তিকে আগে প্রতিহত করা হোক।
স্বাআলো/এসএস