উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে টাঙ্গাইলের যমুনা নদীসহ জেলার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে করে জেলার ভূঞাপুর, গোপালপুর, টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতী, নাগরপুর ও মির্জাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চলে ধীরে ধীরে পানি প্রবেশ করছে।
রবিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে এই দৃশ্য দেখা যায়। ইতোমধ্যে আমন মৌসুমে ধানের বীজতলা তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কাসহ যমুনা চরাঞ্চলবাসীর নানাবিধ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। এ ছাড়া নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতেও ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
টাঙ্গাইল জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১৫ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে রবিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঝিনাই নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ কারণে ঝিনাই নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। এ ছাড়াও ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ী পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। আর মাত্র ৩৯ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি হলে বিপৎসীমা অতিক্রম করবে। ধলেশ্বরী নদীর পানি এলাসিন পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার, বংশাই নদীর পানি মির্জাপুর পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার, ফটিকজানী নদীর পানি নলচাপা পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব নদীগুলোর পানি বিপৎসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এগুলোও দু-এক দিনের মধ্যে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হবে।
টাঙ্গাইল জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী উপসহকারী প্রকৌশলী নূরুল আমিন বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে যমুনা নদীসহ জেলার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতোমধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ঝিনাই নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনায় ৩৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেলে বিপৎসীমা অতিক্রম করবে। আরও বেশ কিছুদিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছি। পাশাপাশি ভাঙন কবলিত এলাকায় জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
স্বাআলো/এসএস