চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছর সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে রাজস্ব বেড়েছে। গত অর্থবছরের প্রথম মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে ১৬ কোটি টাকার ওপরে রাজস্ব আয় বেড়েছে।
বন্দরসংশ্লিষ্টরা বলছেন, পণ্য আমদানি-রফতানি বাড়ায় রাজস্ব আয় বেড়েছে।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব বিভাগ থেকে জানা গেছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছর ভোমরা স্থলবন্দরের জন্য এখন পর্যন্ত কোনো রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেনি। তবে অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে এ বন্দরে রাজস্ব আয় হয়েছে ৬০ কোটি ৮৬ লাখ ৭ হাজার ৫৫২ টাকা, যা গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাসের তুলনায় অন্তত ১৬ কোটি টাকার বেশি আয় হয়েছে। সূত্র আরো জানায়, বিদায়ী অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে এ বন্দরে রাজস্ব আয় হয়েছিলো ৪৪ কোটি ৭৪ লাখ ২৭ হাজার ৫৫১ টাকা। এ হিসাব অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে রাজস্ব বেড়েছে ১৬ কোটি ১১ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
ভোমরা স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী নওশাদ দিলওয়ার রাজু বণিক বার্তাকে জানান, ভোমরা বন্দরে রাজস্ব আয় দেশের অন্য যেকোনো বন্দরের চেয়ে বেশি হওয়া সম্ভব যদি ব্যবসায়ী সবধরনের পণ্য আমদানি করতে পারে। তিনি বলেন, ‘ভারতের কলকাতার সঙ্গে ভোমরা বন্দরের দূরত্ব যেকোনো বন্দরের তুলনায় খুবই কম। তাছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থাও বেশ ভালো রয়েছে। সব মিলিয়ে ভোমরা বন্দর খুবই সম্ভাবনাময়। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো ভোমরা স্থলবন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীদের সবধরনের পণ্য আমদানির অনুমোদন দেয়া হয় না। কী কারণে বা কার স্বার্থে এ বৈষম্য করা হয় ভোমরা বন্দরে তা বোধগম্য নয়। অথচ ভোমরা স্থলবন্দর দেশের পূর্ণাঙ্গ বন্দর হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।’ তিনি অবিলম্বে ভোমরা বন্দরে পণ্য আমদানিতে বৈষম্য তুলে নিয়ে ব্যবসায়ীদের সব ধরনের বৈধ পণ্য আমদানি-রফতানির সুযোগ দেয়ার জন্য বন্দরসংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।
এদিকে ভোমরা শুল্ক স্টেশনের দায়িত্বরত কাস্টমসের ডেপুটি সহকারী কমিশনার নেয়ামুল হাসান বণিক বার্তাকে জানান, গত অর্থবছরের প্রথম মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে রাজস্ব আহরণের শুরুটা বেশ ভালো। আশা করা হচ্ছে আগামীতে আরো ভালো যাবে রাজস্ব আয়। পণ্য আমদানি-রফতানি বেড়ে যাওয়ায় রাজস্ব আয় বেড়েছে।
স্বাআলো/এসএস