মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) কলম্বোর আর. প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম উইকেটে রোহিত-গিলের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে দারুণ সূচনা পেয়েছিল ভারত। কিন্তু মিডেল ওভারে লঙ্কান স্পিনার দুনিথ ওয়েল্লালাগে ও চারিথ আসালাঙ্কার ঘূর্ণিতে দিশেহারা হয়ে যায় কোহলিদের ব্যাটিং অর্ডার। শেষ পর্যন্ত ৪৯.১ ওভারে ২১৩ রানেই অলআউট হয়ে যায় রোহিত শর্মার দল।
টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ভারতীয় ওপেনার। রোহিত শর্মা ও শুভমন গিলের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দশ ওভারে বিনা উইকেটে ৬৫ রান তুলে ভারত।
তবে ইনিংসের ১২তম ওভারে লঙ্কান শিবিরে স্বস্তি এনে দেন দুনিথ ওয়েল্লালাগে। গিলকে এই বাঁহাতি স্পিনার বোকা বানিয়ে বোল্ড আউট করে সাজঘরের পথ দেখান। এরপর ক্রিজে নেমে তরুণ এই লঙ্কান স্পিনারের জালে আটকা পড়েন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান বিরাট কোহলি।
কলম্বোতে সমর্থকদের ১৬তম ওভারে আরো বড় আনন্দের উপলক্ষ এনে দেন ২০ বছর বয়সী এই তরুণ। তার ঘূর্ণি জালে আটকা পড়েন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মাও।
দলীয় ৮০ রানে শূন্য উইকেট থেকে ৯১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ভারত। চতুর্থ উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন আগের ম্যাচের আরেক সেঞ্চুরিয়ান লোকেশ রাহুল। এই ডানহাতি ব্যাটার সঙ্গী হিসেবে পান ইশান কিশানকে।
কিন্তু রাহুলকে ৩৯ রানে থামিয়ে চতুর্থ উইকেট জুটিও ভাঙেন ভেল্লালেগে। সঙ্গীকে হারিয়ে আর বেশিক্ষণ উইকেটে টিকতে পারেননি ইশানও। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩৩ রান।
এর পরের গল্পটা শুধুই লঙ্কান স্পিনারদের। ১৬ রানের ব্যবধানে পরের ৪ ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরান ভেল্লালেগে-আসালঙ্কা জুটি। শেষদিকে অক্ষর প্যাটেল কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও দলকে অলআউটের শঙ্কা থেকে বাঁচাতে পারেননি। ২৬ রান করা এই ব্যাটারকে সাজঘরে ফিরিয়ে ভারতের কফিনে শেষ পেরেকটা মারেন মাহিশ থিকশানা।
স্বাআলো/এসএস
.
