আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস পালনের পরও কি তা বন্ধ হবে

গত ১০ সেপ্টেম্বর দেশে পালিত হয়ে গেলো বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস। এ উপলক্ষে যশোরেরও কর্মসূচি নেয়া হয়। কিন্তু এতেও কি আত্মহত্যা বন্ধ হবে। আত্মহত্যার ঘটনাটি বিভিন্ন স্থানে বেশ বেড়েছে। আত্মহত্যার কারণ হিসেবে জানা যায়, মাদকাসক্ত, বেকারত্ব, মানসিক সমস্যা, অভিমান, পারিবারিক অশান্তি, প্রেম ভালোবাসায় ব্যর্থতা, পরোকিয়াসহ নানা কারণে এই আত্মহত্যা সংঘঠিত হয়েছে।

আমরা এমন একটি সমাজে বাস করি যেখানে মানুষের প্রতি সহমর্মিতা নেই। এ কারণে বিচ্ছিন্নতাবোধ তৈরি হচ্ছে, যা আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তখন মানুষের সহমর্মিতা না পাওয়ার ফলে ওই ব্যক্তি অন্যদের থেকে দূরে চলে যায়। এ সময় যদি সাহায্যের হাত বাড়াতে পারি তাহলে আত্মহত্যা থেকে পরিত্রাণ সম্ভব।

আত্মহত্যা কোনোভাবেই ব্যক্তিগত নয়। এ কারণে প্রচলিত আইনে আত্মহত্যার চেষ্টাকারীকে সাজার মুখে পড়তে হয়। আর ইসলাম ধর্মে তো একটি বড় গোনাহ। এ ধর্মে বিশেষভাবে বলা হয়েছে যে আত্মহত্যা করবে সে কবিরা গোনাহ অর্থাৎ বড় গোনাহের কাজ করবে। তাহলে আমাদের বুঝতে বাদ থাকছে না যে কোনোক্রমেই আত্মহত্যা করা যাবে না। নানাভাবে নানা কৌশলে তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে আত্মহত্যা করার ভেতর কোনো কৃতিত্ব নেই। এ ধরাধামে বেঁচে থেকে ঘাত-প্রতিঘাতের ভেতর দিকে এগোতে হবে। মানুষ হয়ে যখন জন্ম নেয়া হয়েছে তখন চলার পথ কোথাও কুসুমাস্তীর্ণ কোথাও কন্টকিত। কন্টকিত পথ চলতে গিয়ে এই যে অবস্থা তাতে জীবনের স্বাদ আছে, বৈচিত্র আছে। এ ভাবে জীবন না হলে তো সে জীবন মূল্যহীন হয়ে যায়।

.

Author
সম্পাদকীয় ডেস্ক