কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত এডিসি হারুন অর রশিদকে রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মাহাবুর রহমান শেখ সই করা এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এর আগে সোমবার এডিসি হারুন অর রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিলো।
গেলো শনিবার রাতে নারীঘটিত বিষয় নিয়ে ফজলুল হক হল ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিমকে থানায় ধরে এনে নির্যাতন করেন তৎকালীন এডিসি হারুন অর রশীদ। এর জেরে রবিবার এডিসি হারুনকে রমনা জোন থেকে পিওএম উত্তর বিভাগে সংযুক্ত করা হয়। কয়েক ঘণ্টা পর পুলিশ সদরদফতর তাকে এপিবিএনে বদলি করে। সোমবার বিকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে হারুন অর রশীদকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ সদরদফতরে সংযুক্ত করা হয়।
এদিকে বরখাস্ত এডিসি হারুনের পর এবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) থেকে বদলি করা হচ্ছে ক্রাইম বিভাগের এডিসি-১ সানজিদা আফরিনকে। বিসিএস ৩৩ ব্যাচের এই পুলিশ কর্মকর্তা রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক মামুনের স্ত্রী।
ছাত্রলীগ নেতা নির্যাতনসহ ব্যক্তিগত বিষয়ের বিবাদে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে স্বামীর পক্ষে অবস্থান না নিয়ে বরখাস্ত এডিসি হারুনের পক্ষে অবস্থান নিতে দেখা গেছে সানজিদাকে।
ডিএমপি সূত্র জানায়, সানজিদাকে ডিএমপি থেকে সরিয়ে ঢাকার বাইরের কোথাও বদলির সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিগগিরই এ নিয়ে আদেশ দেবে পুলিশ সদর দফতর।
এদিকে, এডিসি সানজিদার বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। গণমাধ্যমে তিনি বলেন, আমি সানজিদার সাথে কথা বলিনি। সানজিদা এ ধরনের স্টেটমেন্ট দিয়ে ঠিক করেনি। কারণ অনুমতি ছাড়া সে এ ধরনের স্টেটমেন্ট দিতে পারে না।
জানা গেছে, ঘটনার আদ্যপান্ত নিয়ে এডিসি সানজিদাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটি। ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক জানিয়েছেন, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পরেই যার যেরকম ভূমিকা তার বিরুদ্ধে সেভাবেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্বাআলো/এসএ