সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত হাইকোর্ট মসজিদ ৪ তলা করা হচ্ছে। রাজধানী ঢাকার রমনায় অবস্থিত বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টে কর্মরত ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় আসা মুসলিমদের নামাজ আদায় সহজ ও স্বাচ্ছন্দময় করতেই মসজিদটিকে ৪ তলা করা হচ্ছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আইন ও বিচার বিভাগের উদ্যোগে গ্রহণ করা এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) অনুমোদন করা হয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে। ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত মাজার মসজিদ নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১১০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। সরকারের সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে গৃীহিত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে আইন ও বিচার বিভাগ (ডেলিগেটেড ওয়ার্ক গণপূর্ত অধিদফতর)। চলতি সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া প্রকল্পটি ২০২৫ সাল নাগাদ শতভাগ বাস্তবায়ন হবে।
আইন মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় আসা মুসলিম জনগোষ্ঠীর জন্য নামাজ আদায়, ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ ও অনুশীলন ইত্যাদি কার্যক্রমের সুযোগ সৃষ্টি করা, ধর্মীয় চর্চার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ সবার অংশগ্রহণের ব্যবস্থা রাখা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এ প্রকল্পের মুল উদ্দেশ্য।
এদিকে পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় ১৫ হাজার ২২৬ দশমিক ৬৮ বর্গমিটার আয়তন ও দুইটি বেজমেন্ট বিশিষ্ট ৪ তলা মসজিদ ভবন নির্মাণ করা হবে। নতুন মসজিদ ভবন পুরোপুরি নির্মিত না হওয়া পর্যন্ত ১ হাজার ২৫০ বর্গমিটার পাকা, আধা পাকা টিন শেড এ মসজিদের অস্থায়ী স্থানান্তর করা হবে। বহিঃস্থ বিদ্যুতায়ন করা হবে। মসজিদের জন্য আসবাবপত্র কেনা হবে এবং মসজিদ ক্যাম্পাসে গড়ে তোলা হবে আরবরিকালচার (সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য বিভিন্ন রকমের গাছ লাগানো ও এ সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা)।
সূত্র আরো জানায়, প্রকল্পটি চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দবিহীনভাবে অনুমোদিত প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছে। সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অধ্যায়-১৩, অনুচ্ছেদ-১৩.৪.২ এ বর্ণিত লক্ষ্য বাংলাদেশের ঐতিহাসিক মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জা প্রভৃতি সংস্কার মেরামত ও নির্মাণ করার সঙ্গে প্রকল্পটি সম্পর্কযুক্ত।
এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানিয়েছেন, প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মামলা সংক্রান্ত কাজে হাইকোর্টে আসেন। এবং অনেকেই নামাজ আদায়ের জন্য এই মসজিদে আসেন। আগত মুসল্লির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় নামাজের স্থানের সংকুলান হচ্ছিলো না। ফলে মসজিদের সম্প্রসারণ জরুরি হয়ে পড়েছিলো। সে বিষযটিকে গুরুত্ব দিয়ে এখানে একটি নতুন মসজিদ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এখন এখানে হবে দুইটি বেজমেন্টসহ চারতলা মসজিদ। এর ফলে মুসল্লিরা নামাজ আদায়ে স্বাচ্ছন্দ অনুভব করবেন। একই সঙ্গে এখানে ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ ও অনুশীলন ইত্যাদি কার্যক্রমের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হবে।
স্বাআলো/এসএ
.
