কোন কিছুতেই মাদক ব্যবহার বন্ধ হচ্ছে না

যশোরের রূপদিয়ায় মাদকাসক্ত পোতা ছেলে বাদশার (২২) লাঠির আঘাতে দাদী জবেদা খাতুনের (৭৫) মৃত্যু হয়েছে। ঘাতক বাদশার চাচা জানিয়েছেন, মাদক কেনার টাকার না পেয়ে তাদের ভ্যানের মোটর খুলে বিক্রি করতে চায় বাদশা। এ নিয়ে তার বাবার সাথে কথা কাটাকাঠির সময় তার দাদী কথা কাটাকাটির কারণ জানতে গেলে বাদশা লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এতে তিনি মারা যান।

সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স অবস্থান গ্রহণ করলেও ফল কিন্তু সন্তোষজনক নয়। কোনো কিছুতেই মাদক ব্যবহার বন্ধ হচ্ছে না। এ ব্যবসাকে ডেডস্টপ করতে হবে। এদের যদি দমন করা যেত তা হলে এতদূর এগোতে পারতো না। বিকাশিত হবার আগেই হারিয়ে যায়, কত উদীয়মান প্রতিভা। বিধবা হয় কত নারী, কত শিশু এতিম হয়। মাদকাসক্তরা পরিবার সমাজে অস্বাভাবিক জীবনযাপনের শিকার হয়।

মাদককে জাতীয় জীবনের অন্যতম সমস্যা। কিন্তু মাদক ব্যবসা থেমে নেই। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও পুলিশ বিভাগকে এর বিরুদ্ধে কঠোর ভূকিকা নিতেও দেখা যাচ্ছে। কিন্তু তার পরও কেন এ অবস্থা তা ভাববার বিষয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মাদক ধরছে, ধ্বংস করছে, বহনকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবু এ মাদকটির স্রোত থামছে না।
দেশের প্রণানশক্তি যুব সমাজকে মাদকের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। মাদককে যে কোনো মুল্যে বন্ধ করতে হবে।

মাদক রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, যারা মাদক ব্যবসা ছাড়বেন না তাদের ভয়াবহ বিপদে পড়তে হবে। আর মাদক ব্যবসা ছাড়লে সরকার সহযোগিতা করবে। বাংলাদেশকে উন্নত ও উচ্চ আয়োর দেশে পরিণত করার চেষ্টা চলছে। তাই কর্মক্ষম যুবশক্তিকে মাদকের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করতে হবে।

স্বাআলো/এসএস

.