লিবিয়ায় ভয়ংকর বিপর্যয়কর পরিস্থিতি, মৃতের সংখ্যা ২০ হাজারে পৌঁছাতে পারে

লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল। এ ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে আফ্রিকার পূর্বাঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়। আর এই বৃষ্টির পানির চাপে দেরনা শহরের কাছে নদীর ওপর দেয়া দুটি বাধ ধসে পড়ে। বাঁধ ভেঙে দেরনা শহরের সব রাস্তাঘাট তলিয়ে যায়। ঝড়ের প্রভাবে শহরের বিভিন্ন বহুতল ভবন ঘুমন্ত বাসিন্দাদের ওপরই ধসে পড়ে। ভয়াবহ এই বন্যায় লিবিয়ায় এক ভয়ংকর বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

এরই মধ্যে প্রায় চার হাজার মানুষের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে এ মৃতের এ সংখ্যা ২০ হাজারে পৌঁছাতে পারে বলে জানিয়েছেন দেরনা শহরের মেয়র।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

ভূমধ্যসাগরীয় এই শহরে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৮৪০ জন মারা গেছেন বলে বুধবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ‘লেফটেন্যান্ট তারেক আল-খারজ’। এর মধ্যে দাফন করা হয়েছে ৩ হাজার ১৯০ জনকে। এদের মধ্যে কমপক্ষে ৪০০ বিদেশি নাগরিক রয়েছে। যাদের বেশিরভাগই সুদান ও মিশরের।

এদিকে পূর্ব লিবিয়া প্রশাসনের বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী হিচেম আবু চকিউয়াত বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৩০০ জনের বেশি মরদেহ গণনা করেছেন তারা। এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। এমনকি দ্বিগুণ হতে পারে।

অপরদিকে দেরনার মেয়র ‘আবদুলমেনাম আল-গাইথি’ সৌদি সংবাদমাদ্যম আল আরাবিয়া টেলিভিশনকে বলেছেন, বন্যায় বেশ কয়েকটি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব জেলাও হিসেবে আনলে মৃতের সংখ্যা ১৮ থেকে ২০ হাজারে পৌঁছতে পারে।

এদিকে বন্যায় ব্যাপক হতাহতের পাশাপাশি এখনো হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ। কর্মকর্তারা বলছেন, প্রায় ১০ হাজার মানুষ নিখোঁজ হয়েছে। তবে জাতিসংঘের দাতব্য সংস্থা ওসিএইচএ জানিয়েছে, এই সংখ্যা অন্তত ৫ হাজার।

যারা নিখোঁজ আছেন, সেসব প্রিয়জনদের উদ্ধারে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছেন স্বজনরা। দেরনার মেয়র আল-গাইথি বলেছেন, মিশর, তিউনিসিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক ও কাতার থেকেও উদ্ধারকারী দল পৌঁছেছে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের এখন মরদেহ উদ্ধারে বিশেষ দল প্রয়োজন। ধ্বংসস্তূপের নীচে ও পানিতে অনেক মরদেহ রয়েছে। এ কারণে শহরে মহামারি দেখা দিতে পারে।

স্বাআলো/এসএ

.

Author
আন্তর্জাতিক ডেস্ক