পরের সম্পদ দখল, অর্থ আত্মসাত, সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি, লুটপাট, চাঁদাবাজি এমন ধরনের শত অপরাধের কথা নিয়ত শুনতে হচ্ছে আমাদেরকে। যতই দিন যাচ্ছে ততই যেন এ সব কর্মকাণ্ড বাড়ছে। যশোর শহরের বকচরের দুই নারীর কেনা ১৪ শতক ৩৭ শতক জমি দখল করে নেয়ার পায়তার করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ওই জমির সিমানা পাচিল ভেঙে দিয়ে সেই নিয়ে গেছে দখলের চেষ্টাকারীরা। এতে তাদের আড়াই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ওই নারী দুজন হলেন যশোর শহরের বেজপাড়ার নসিয়া বেগম ও রোকেয়া বেগম।
মানবতা ধুলায় লুন্ঠিত হলেও পাশে দাঁড়ানোর কেউ নেই। বিচার চাওয়ার মত সাহসটুকুও তারা পাচ্ছে না। সহমর্মীতা নিয়ে কেউ এগিয়ে যেতে চাইলেও লুটেরাদের রক্তচক্ষুর ভয়ে পিছিয়ে আসতে বাধ্য হন। হঠাৎ করে অজাতশত্রু বলে চিহ্নিত অনেকেই খুন হচ্ছে বলে মাঝে মধ্যে যে খবর আসে তার পেছনের ঘটনা এই সম্পদ দখলের খেলা বলে ধারণা করা হয়। হলো না এর চেয়ে মানবতা বর্জিত কাজ আর কি হতে পারে?
অন্যায়ের বিরুদ্ধে আইনী সাহায্য পাওয়ার ক্ষেত্রে বিচার ব্যবস্থা আছে। নির্যাতিত উৎপীড়িত বঞ্চিত মানুষের ভরসাস্থল হলো এই বিচারালয়। কিন্তু আইনের কাছে যাওয়ার যোগ্যতা বা সামর্থ অনেকের নেই বলে আইনের সহযোগিতা থেকে সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন। নসিয়া বেগম ও রোকেয়া বেগমদের পাশে যদি এমন কোনো দরদী মানুষ দাঁড়াতেন তাহলে তার মত অসহায় মানুষ শেষ জীবনটা শান্তির সাথে কাটাতে পারতেন। কিন্তু সাধারণ মানুষের কেউ এ সব নিপীড়িত বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে জেনেশুনে ঝুঁকি নিতে চাইবে না। অসহায়দের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় সরকারিভাবে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায় কিনা ভেবে দেখা দেখা যেতে পারে। গরিব অসহায় মানুষকে বিনা ব্যয়ে আইনী সহায়তা দেবার জন্য লিগ্যাল এইড বলে একটি সংস্থা আছে। সংস্থার সহযোগিতাও প্রশংসনীয়। কিন্তু অসহায় মানুষ সেখানে গেলেও আইন অমান্যকারীরা ফোঁসে। এ ফোঁসাফুঁসিও রোধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
.
