ভারতকে ২৬৬ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিলো বাংলাদেশ

এশিয়া কাপ থেকে আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশ। তাই ভারতের বিপক্ষে নিয়মরক্ষার ম্যাচে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে টাইগাররা। কিন্তু ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়েছিল টাইগাররা। তবে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও তাওহিদ হৃদয়ের পর লোয়ার অর্ডারে নাসুম আহমেদ ও শেখ মেহেদির ক্যামিও ইনিংসে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পেয়েছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।

প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ২৮ রানের মধ্যেই টপ অর্ডারের ৩ ব্যাটারকে হারিয়ে ফেলেছিলো বাংলাদেশ। তবে সাকিবের ৮০, হৃদয় ৫৪, নাসুম ৪৪ ও শেখ মাহেদির অপরাজিত ২৯ রানে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৬৫ রান করে টাইগাররা। ফলে জয়ের জন্য ভারতের দরকার ২৬৬ রান।

কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে নিয়মরক্ষার এই ম্যাচে টসভাগ্য সহায় হয়নি বাংলাদেশের। টস জিতে সাকিবদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা।

একের পর এক উইকেট পড়ছে। ধস থামাতে প্রমোশন দিয়ে পাঁচ নম্বরে পাঠানো হয় মেহেদী হাসান মিরাজকে। মিরাজ দুইবার জীবন পান। তারপরও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২৮ বলে ১৩ করে অক্ষর প্যাটেলের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই অলরাউন্ডার। ৫৯ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

সেখান থেকে সাকিব আল হাসান আর তাওহিদ হৃদয়ের দুর্দান্ত প্রতিরোধ। দুইজন মিলে গড়লেন শতরানের জুটি।

চার বছর পর সাকিবকে হাতছানি দিচ্ছিলো সেঞ্চুরি। তার ইনিংসটা বলতে গেলে ছিলো একদম নিখুঁত। কিন্তু ৩৩ ওভারের পর পানি পানের বিরতি যেনো অভিশাপ হয়ে এলো। বিরতির পর মনোসংযোগে চিড় ধরলো, প্রথম বলেই আউট হয়ে গেলেন সাকিব।

শার্দুল ঠাকুরের ক্রসসিম ডেলিভারি ব্যাটে লেগে ভেঙে দিলো স্ট্যাম্প। সাকিবের লড়াকু ইনিংসের সমাপ্তি হলো একশোর হতাশা নিয়ে। ৮৫ বলে ৮০ রানের ইনিংসে ছয়টি চার আর তিনটি ছক্কা হাঁকান বাংলাদেশ অধিনায়ক। তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে তার জুটিটি ছিলো ১১৫ বলে ১০১ রানের।

হৃদয় আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চাপের মুখে খেলেছিলেন ৮২ রানের ইনিংস। আরো একবার দলের বিপদে জ্বলে উঠলো তার ব্যাট। তুলে নিলেন নিজের ক্যারিয়ারের পঞ্চম আর টানা দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি।

তবে ফিফটির পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তরুণ এই ব্যাটার। মোহাম্মদ শামিকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লিগে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন হৃদয়। ৮১ বলে ৫৪ রানের ইনিংসে তিনি পাঁচটি চারের সঙ্গে মারেন দুইটি ছক্কা।

শেষদিকে নাসুম আহমেদের ৪৫ বলে ছয় চার আর এক ছক্কায় ৪৪ আর শেখ মেহেদির ২৩ বলে তিন বাউন্ডারিতে ২৯ রানে ভর করে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় বাংলাদেশ। অভিষিক্ত তানজিম সাকিবও আট বলে একটি করে চার-ছক্কায় করেন হার না মানা ১৪।

ভারতের শার্দুল ঠাকুর ৬৫ রানে নেন তিনটি উইকেট। ৩২ রানে দুই উইকেট নেন মোহাম্মদ শামি।

স্বাআলো/এস

.

Author
স্পোর্টস ডেস্ক