৭২ ঘণ্টার ব্যবধানে ফাঁস দিয়ে দুই ভাইয়ের আত্মহত্যা

ফাইল ছবি

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় ৭২ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই ভাইয়ের গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে।

নিহতরা হলেন, উপজেলার উথুরা ইউনিয়নের তালুটিয়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে তারা মিয়া (২২) ও মঞ্জুরুল ইসলাম (১৮)।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিজ ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মঞ্জুরুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর তিনদিন আগে সোমবার তার বড় ভাই তারা মিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ভালুকা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আবুল কালাম পেশায় ভিক্ষুক। তিনি দুই বিয়ে করেছেন। প্রথম স্ত্রীর এক ছেলে ও দুই মেয়ে। দ্বিতীয় স্ত্রীর দুই ছেলে ও তিন মেয়ে। আবুল কালামের প্রথম স্ত্রী পারিবারিক কলহের জেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। এরপর আবুল কালাম দ্বিতীয় বিয়ে করেন।

পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, নিহতদের মাঝে তারা মিয়া কালামের প্রথম স্ত্রীর সন্তান এবং মঞ্জুরুল দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান। তারা মিয়া প্রায় এক বছর নিখোঁজ ছিলেন। আনুমানিক পাঁচ মাস আগে বাড়িতে ফিরে আসেন। কিন্তু তিনি কোনো কাজ করতেন না। হতাশাগ্রস্ত হয়ে গত সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বাড়ির পাশে জঙ্গলে গাছের ডালে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে পুলিশ খবর পেয়ে তারা মিয়ার মরদেহ ময়নাতদন্ত করে দাফনের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। ওই ঘটনায় ভালুকা থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছিল।

এসআই নজরুল জানান, তারা মিয়ার মৃত্যুর তিনদিন পর বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভিক্ষুক বাবার কাছে টাকা চান মঞ্জুরুল। কিন্তু অভাবের সংসার হওয়ায় টাকা দিতে পারেননি বাবা। এসব নিয়ে বাবার সঙ্গে মনোমালিন্য হয় মঞ্জুরুলের। পরে এই ক্ষোভ থেকেই তিনি নিজ ঘরের দরজা আটকে আড়ার সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে পরিবারের লোকজন টের পেয়ে থানায় খবর দেন।

তিনি আরো জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। তবে তার বাবা মরদেহ ময়নাতদন্ত করতে দেবেন না বলে আপত্তি করেন। এতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। তখন নিহতের স্বজনরা বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ নেয়ার আবেদন করেন। পরে পুলিশ বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

স্বাআলো/এসএ

.

Author
ময়মনসিংহ ব্যুরো