সাতক্ষীরা থেকে ১৩ দিন পর ব্যবসায়ীকে উদ্ধার, আটক ১

আটক ফাইল (ছবি)

চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ীকে ১৩ দিন একটি রুমে আটকে রাখার পর সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভোমরা স্থল বন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খানের ভাড়ার বাসা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ।

এ ঘটনায় ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খানের ম্যানেজার মহসীনকে আটক করা হয়েছে।

উদ্ধারকৃত ব্যবসায়ীর নাম সাউদ সাদাত (৪৮)। তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ফরহাদাবাদ এলাকার সামছুল আলমের ছেলে। তাকে ভোমরা সিএন্ডএফ এজন্টস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খানের একটি ভাড়া বাড়িতে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছিলো বলে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন তার স্ত্রী। ওই বাসায় মাকসুদ খানের ম্যানেজার মহাসীন আলীও বসবাস করতেন।

ব্যবসায়ীর স্ত্রী ফারহানা রেজা জানান, গত ১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার তার স্বামীসহ তিনজন ব্যবসার কাজে সাতক্ষীরার ভোমরাস্থল বন্দরের নাম করে বাড়ি থেকে রওয়ানা হন। ভোমরায় আসার পর ভোমরা স্থলবন্দরের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান তার স্বামীর সঙ্গে থাকা অপর দুইজন ব্যবসায়ীকে চলে যেতে বলেন। এবং তার ব্যবহৃত ফোনটি নিয়ে নেন। পরে তার স্বামীকে নতুন একটি নাম্বারের সিম দেন। সে নাম্বার দিয়ে তার স্ত্রীকে জানান, তাকে ভোমরায় একটি রুমে আটকে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে।

ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান জানান, তার সঙ্গে চার মাস ধরে ব্যবসা চলছিলো। লেনদেনও ভালো ছিলো। হঠাৎ কোরবানি ঈদের ১০ দিন আগে তার কাছ থেকে এক কোটি ২৩ লাখ টাকার শুকনা মরিচ, রসুন, পেয়াজ নিয়ে আর টাকা দেয়নি।

এবিষয়ে চট্টগ্রামের হাটহাজারি থানা ও সাতক্ষীরা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তাকে আটকে রাখার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমার ম্যানেজারের সঙ্গে একসঙ্গে একরুমে থাকতো, খাওয়া-দাওয়া করতো। ১৭ সেপ্টেম্বর রবিবার তার পাওনা ৫০ লাখ টাকা দেয়ার কথা ছিলো। কিন্তু সেটা যাতে না দিতে হয় সে জন্য তিনি এই অপহরণের নাটক তৈরি করেছেন বলে দাবি করেন।

সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহিদুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন এক ব্যক্তিকে ভোমরায় আটকে রাখা হয়েছে। এরপর তাকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে।

স্বাআলো/এস

.

Author
জেলা প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা