আজ থেকে এলিভেটেড এক্সওয়েতে চলবে বিআরটিসি বাস। সদ্য চালু হওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে গণপরিবহন চলছে না। যতো গাড়ি চলছে তার ৯৯ শতাংশই প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস। বিআরটিসির আটটি বাস দিয়ে প্রাথমিকভাবে যাত্রী পরিবহন শুরু হবে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম।
তিনি জানান, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে তিনটা ডিপো থেকে আটটি বাস চলবে। তবে এগুলো একটি ডিপো থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) থেকে পরীক্ষামূলকভাবে সংস্থাটির আটটি দ্বিতল বাস চলাচল করবে নতুন এই রুটে। ‘শাটল সার্ভিস’ হিসেবে চলবে এসব বাস। অর্থাৎ, শুধু উড়ালসড়ককে কেন্দ্র করে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত বাস চলবে। অন্য পথে চলবে না।
ফার্মগেটের খেজুর বাগানের কাছ থেকে বাসগুলো ছাড়বে। এরপর উড়ালসড়ক দিয়ে উত্তরার জসীমউদ্দীন রোড হয়ে খেজুর বাগান এলাকায় ফিরে আসবে। এভাবে সকাল ৭টা থেকে সারাদিন চলবে বাসগুলো। রাত পর্যন্ত যতক্ষণ যাত্রী পাওয়া যাবে, ততোক্ষণই মিলবে বিআরটিসির বাস। যাত্রী চাহিদার ভিত্তিতে পরবর্তীকালে বাসের সংখ্যা আরো বাড়ানোর কথা জানিয়েছে বিআরটিসি।
এই পথে ভাড়াও নির্ধারণ করা হয়েছে সহনীয়। খেজুরবাগান থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটারের ভাড়া ৩৫ টাকা। আর জসীমউদ্দীন পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ টাকা। কিলোমিটারপ্রতি ভাড়া দাঁড়াচ্ছে ২ টাকা ৪৫ পয়সা। ই-টিকিটিং ব্যবস্থা থাকায় বেশি ভাড়া নেয়ার সুযোগ থাকবে না।
এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশার চলাচলের অনুমতি না থাকায় সাধারণ যাত্রীরা এই উড়াল মহাসড়কের সুবিধা পাচ্ছেন না।
কোথা থেকে ওঠা-নামা
বিআরটিসির চেয়ারম্যান জানান, আপাতত যাত্রীরা এক্সপ্রেসওয়ের দুই প্রান্ত থেকে ওঠানামা করতে পারবেন। উত্তরার জসীমউদ্দীন, বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন ও কাওলা থেকে দক্ষিণমুখী যাত্রীরা বাসে উঠতে পারবেন। আর ফার্মগেটে যাত্রী নামিয়ে বাসগুলো বিমানবন্দর অভিমুখী যাত্রী নেবে।
মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ সংলগ্ন সংসদ ভবনের খেজুরবাগান এলাকার বঙ্গবন্ধু গোলচত্বর থেকে উত্তরামুখী যাত্রীরা বাসে উঠতে পারবেন। এছাড়া খামারবাড়ি ও বিজয় সরণি থেকেও যাত্রী নেবে বিআরটিসি বাস। এদিকে বিআরটিসির এই উদ্যোগে প্রথম ধাপে যুক্ত হতে যাওয়া আটটি দ্বিতল বাসই সংস্থাটির ডিপোতে প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। ওইদিন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম জানান, ৭৯টি বাস চলবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে। তবে নানা জটিলতায় এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে সরকারের এ সংস্থাটি।
স্বাআলো/এস
.
