সুদে নেয়া ৩০ হাজার টাকা দেড় লাখেও শোধ হয়নি। এখন আরো টাকা আদায়ের জন্য প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে সুদে ব্যবসায়ী। এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নিত্যানন্দী গ্রামের নাসিমা বেগম।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় এই অবৈধ সুদে ব্যবসাটি খোলামেলাভাবেই চলছে। সেখানকার সুদে কারবারীর পাল্লায় পড়ে মানুষ সর্বস্বান্ত হচ্ছে। তাদের কাছ থেকে কেউ লোন নিলে ওই জাল থেকে আর গ্রহীতারা বের হতে পারে না। কিন্তু দেখার বা বলার কেউ নেই। তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে এমনই যাতাকলে নিষ্পিষ্ট হচ্ছে সেখানকার মানুষ।
এই তো সেদিনের কথা। সুদে ব্যবসায়ীদের সুদের সীমাহীন দাবি পূরণে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী গ্রামের সিরাজুল ইসলাম সুরুজ।
আমরা যতোদূর জানি ব্যাংকের মাধ্যমে সহজ ঋণের ব্যবস্থা আছে। ঋণ সুবিধা হাতের কাছে পৌছে দেবার জন্য এনজিওগুলো কাজ করছে।
এরপরও কেনো মানুষ জেনেশুনে সুদে কারবারিদের পাতা ফাঁদে পা দিচ্ছে। খবর নিয়ে জানা যায় তাদের কাছ থেকে টাকা নিতে কাগজপত্রের কোনো ঝামেলা নেই। চাইলেই পাওয়া যায়। এ সুবিধার জন্য মানুষ ওদিকে ভেড়ে। এতে শেষমেষ তাদেরকে সর্বস্বান্ত হতে হচ্ছে।
এসব সুদে ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যবস্থা নেয়া বা ব্যবস্থা থাকা উচিত। ফ্রি স্টাইলে এভাবে মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে ধ্বংস করার এ সর্বনাশা কাজ চলতে দেয়া যায় না।
উপজেলার পুকুরিয়া গ্রামের সুজন শর্মা ২০১৮ সালে এক সুদে কারবারীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। প্রতি মাসে তাকে পাঁচ হাজার টাকা করে পরিশোধ করতে হতো। এভাবে তিনি সাড়ে ছয় লাখ টাকা পরিশোধ করেও দেনা থেকে মুক্ত হতে পারেননি।
স্বাআলো/এস