ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর এবার আলু আমদানির সুপারিশ করতে যাচ্ছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান বলেন, আগামী দুই-তিনদিনের মধ্যে আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণে না এলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে আমি বর্ডার খুলে দিতে রিকমেন্ড করবো।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে একই দিন সকালে বগুড়ার শিবগঞ্জের মোকামতলায় আর অ্যান্ড আর পটেটো কোল্ড স্টোরেজে অভিযান চালানো হয়। এ সময় অতিরিক্ত মুনাফার উদ্দেশে কয়েক হাজার বস্তা আলু মজুত করায় তিন ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ ও কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আটক করে পুলিশ।
এ এইচ এম শফিকুজ্জামান বলেন, আটক ব্যক্তিদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করবে। সেখানে যৌক্তিক কাগজপত্র দেখাতে পারলে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে। আর যদি তারা অসৎ উদ্দেশে মজুত করে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র হলুদ কাগজ আর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দাম নির্ধারণ করছে এক শ্রেণির দালাল ও অসাধু ব্যবসায়ীরা। এতে করে সরকার আয়কর বাবদ তাদের রাজস্ব হারাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আগামী দুই-তিনদিনের মধ্যে আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণে না এলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে আমি বর্ডার খুলে দিতে রিকমেন্ড করবো।
দেশের মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলে অতিরিক্ত মুনাফা আদায়কারী ব্যবসায়ীদের পাশে থাকবে না বগুড়া চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি মাফুজুল ইসলাম রাজ।
তিনি বলেন, সরকারের বেঁধে দেয়া নিয়ম মেনেই ব্যবসায়ীদের চলতে হবে। লাভ অবশ্যই করবেন। তবে ব্যবসার মূল উদ্দেশ্য মানুষের সেবা করা। অযৌক্তিকভাবে দাম বাড়াতে গিয়ে যদি কোনো ব্যবসায়ী বিপদে পড়েন, তবে চেম্বার কোনো দায় নেবে না।
বর্তমানে জেলার ৪১টি হিমাগারে এক লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন আলু মজুত আছে। বাজার ঘুরে দেখা যায় খুচরা পর্যায়ে প্রকারভেদে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৬০ টাকায়।
স্বাআলো/এসএস
.
