সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশের পর চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের বেনীপুর গ্রামের নিখোঁজ মিজানুর রহমানের (৫০) লাশ আট দিন পর বিজিবির কাছে ফিরিয়ে দিলো ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
আজ বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টার পর বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের নোনাগঞ্জ শুন্য রেখায় লাশ নিয়ে আসা হলে নিহতের স্ত্রী নাসিমা খাতুনের শনাক্তের পর এদিন সন্ধ্যা ৬টা ২৩ মিনিটে সেটা হস্তান্তর করা হয়।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম জাবীদ হাসান জানান, বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি নাগরিক বেনীপুর গ্রামের ক্যাম্পপাড়ার মরহুম নছর উদ্দিনের জামাতা এবং ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা নবিছদ্দীনের ছেলে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশের পর নিখোঁজ হয়েছিলেন। তার পরিবারের দাবি গরু আনতে গিয়ে বিএসএফ সদস্যদের মুখোমুখি হলে তারা তাকে গুলি করে হত্যা করে।
নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণগঞ্জ থানার নোনাগঞ্জ সীমান্তে ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।
লাশ হস্তান্তরের সময় উপস্থিত সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইশাবুল ইসলাম মিল্টন জানান, মিজানুর রহমান কিছুদিন ধরে ভারতীয় গরু অবৈধভাবে আনা নেয়ার সঙ্গে জড়িত ছিলো। এছাড়াও তিনি সাম্প্রতিক সময়ে অবৈধভাবে মানুষ পারাপারের গত বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে তিনি নিজে এবং তার সহযোগী কয়েকজন অবৈধভাবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণগঞ্জ থানার নোনাগঞ্জ সীমান্তে যান। সেখান থেকে ফেরার সময় বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এতে তিনি মারা যান।
লাশ হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন- ঝিনাইদহের মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পরিচালক সাইফুল ইসলাম, বেনীপুর বিওপি কমান্ডার আতিয়ার রহমান, জীবননগর থানার এসআই এসএম রায়হান, এসআই সৈকত পাড়ে, জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমান।
এ সময় ভারতের বিএসএফের উপস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগর থানা পুলিশ লাশটি নিহতের পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেন। এরপর আইনগত প্রক্রিয়া শেষে নিহত মিজানুরের লাশ দাফনের উদ্দেশ্যে তার আত্মীয়-স্বজন এ্যাম্বুলেন্সে করে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়ায় নিয়ে যান।
স্বাআলো/এস