যশোরে জামাতে ইসলাম নিয়ন্ত্রিত একটি স্কুলে গভীর রাতের ট্রাক থেকে মালামাল নামানো ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নাশকতার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এখানে মালামাল জড়ো করা হচ্ছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়েছে এবং এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে অক্টোবর মাসেই যশোরে একটি বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা রয়েছে জামাতে ইসলামের। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কিছুদিন আগে ভোরে রামনগর ইউনিয়নে শিবিরের সাবেক সভাপতি নাজমুলের নেতৃত্বে মিছিল করে তারা। মিছিল নামে ওই শো-ডাউনের পর কর্মীদের মধ্যে মনবল বাড়ে। এরপর তারা অক্টোবর মাসেই বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনায় হাত দেয়। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই মালামাল জোগাড় করা হচ্ছে।
সূত্র বলছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে কাজিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাতের নেতা হওয়ায় তার সহযোগিতায় এই বিদ্যালয়ে অবৈধ মালামাল এনে রাখা হয়। মূলত এই তৎপ্রতার সাথে যুক্ত রয়েছে ইউনিয়ন শিবিরের সাবেক সভাপতি দুর্ধর্ষ ক্যাডার একাধিক নাশকতার মামলার আসামি নাজমুল ইসলাম। তাকে শহরের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সহযোগিতা দিচ্ছেন বলে সূত্র নিশ্চিত করছে।
যশোর কোতোয়ালী থানার এসআই তুহিন বওয়ালী বলেন, মুসলিম এইড ইসলাম ইনসেটিভ নামে একটি এনজিও রাতে কিছু মালামাল কাজিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় নিয়ে আসে। বিষয়টি স্থানীয়দের সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। কিন্তু ঘটনাস্থলে মালামাল থাকলেও কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা এনজিওটির কর্মকর্তাদের খুঁজছি।
যশোর কোতোয়ালী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।