দাম নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কঠোরতা

ঘোষণা দেয়ার পরও সরকারের বেঁধে দেয়া তিন কৃষিপণ্য আলু, ডিম এবং পেঁয়াজের নির্ধারিত দর জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে কার্যকর না হওয়ায় দেশের সব বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকদের বাজারে কঠোর নজরদারির নির্দেশনা দিয়েছেন বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ।

১৯ সেপ্টেম্বর বাণিজ্যসচিব মন্ত্রণালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই নির্দেশনা দেন। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি নিত্যপণ্যের দাম বাড়াতে কারসাজি করা সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণাও দিয়েছিলেন তিনি।

১৪ সেপ্টেম্বর আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম কমিয়েছে সরকার। প্রতিটি ডিমের দাম ১২ টাকা, আলুর দাম প্রতিকেজি ৩৫-৩৬ টাকা এবং পেঁয়াজের দাম ৬৪-৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। এ খবরে ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে পণ্যগুলো কম দামে কেনার আশায় বাজারে গেছেন, তাদের অনেকেই হতাশ হয়ে ফিরেছেন। কারণ বেঁধে দেয়া দাম মানছেন না বিক্রেতারা। আলু, পেঁয়াজ, ডিম এখনো বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই।

এদিকে, বাণিজ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বেঁধে দেয়া দাম বাস্তবায়নে ভোক্তা অধিদফতর থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসকরা বাজার মনিটরিং করবেন। জেলা-উপজেলাসহ বড় বড় শহরে মনিটরিং চলবে। সর্বাত্মক শক্তি নিয়ে বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হবে। তবে বাজারে কোনো ধরনের মনিটরিং কার্যক্রম চোখে পড়েনি। অল্প দিনের ব্যবধানে এ সব জিনিষের দাম বেড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, সিন্ডিকেটের কারসাজির কারণেই এর দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে।

সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য অসহনীয় হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষকে আর কত এ ভার সইতে হবে, কবে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য থেকে মুক্তি মিলবে সেটা একটা প্রশ্ন। অসৎ ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট সব সময়ই বাড়তি মুনাফা লোটার সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীরা সামান্য অজুহাতেই পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। ভোক্তার পকেট কাটার জন্য কেউ কেউ পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে।

দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। এমনভাবে অর্থদণ্ড দিতে হবে সেটা যেন তাদের অবৈধ মুনাফার চেয়ে বেশি হয়। এজন্য নিয়মিত বাজার মনিটরিং করতে হবে।

জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনাররা বাজারে নামলে নির্ধারিত পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে বলে সবার ধারণা। তবে কথা একটাই এ ক্ষেত্রে নমনীয়তার কোন সুযোগ নেই। দুইজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে বঠোর হতেই হবে। কারণ সোজা আঙুলে যখন ঘি ওঠেনি তখন বাণিজ্য মন্ত্রাণালয় আঙুল বাঁকা করতে বাধ্য হয়েছেন।

স্বাআলো/এসএস