২১ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টায় মিরপুর থানার সিরাজিয়া ইসলামিয়া মাদরাসার হাজী রোড ঝিলপাড় বস্তির বিপরীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিনজনসহ চারজন মারা গেছেন।
নিহতরা হলেন- মিজান (৩০) তার স্ত্রী মুক্তা বেগম (২৫),মেয়ে মৌ (৭) ও অনিক (২০)। ওই এলাকা জলাবদ্ধতার শিকার। বিদ্যুতের তার ছিড়ে ওই পানির মধ্যে পড়ে। নিহতরা তা বুঝতে না পেরে ওই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়।
যে পরিবারের তিনজন মারা গেছে ওই পরিবারে শোক প্রকাশ করার আর কেউ আছে কিনা তা জানা যায়নি। কিন্তু এর জবাবদিহিতা কে করবে? বিদ্যুৎ বিভাগ দায় এড়াতে বলবে অজান্তে এমন ঘটনা ঘটলে করার কিছু থাকে না। যদি তাই বলে তাহলে কি দায় থেকে তারা মুক্তি পাবে? জাতীয় জীবনের সব জায়গায় চলছে জবাবদিহিহীনতার মহোৎসব। এ কারণে কোনো কিছুতেই কারো কোনো মাথা ব্যথা নেই।
সরকারি রাস্তা কিন্তু সংষ্কারের অভাবে যানবাহন ও লোক চলাচল করতে পারে না। রাস্তা জুড়ে ছোট বড় খানা খন্দে ভরা রাস্তায় গাড়ি চলতে গিয়ে প্রায় দুর্ঘটনায় পড়ে জান-মালের ক্ষতি হচ্ছে। কিন্তু হলে কি হবে। যাদের দায়িত্ব তাদের গরজ থাকলে তো। যদি অসহনীয় অবস্থা সৃষ্টি হয় তাহলে জনগণ দাবি করলে কর্তৃপক্ষ বলবে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। পাস হয়ে আসলেই কাজ হবে, সমস্যা আর থাকবে না।
বাজার দরের কারণে জনজীবন অসহনীয় হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের আন্তরিকতার অভাব নেই। কিন্তু যারা ব্যবস্থা নেবে তারা গভীর ঘুমে অচেতন। জনগণের পক্ষ থেকে বাদ প্রতিবাদ হলে বলা হবে সিন্ডিকেটের কারণে বাজার নিয়ন্ত্রণে আসছে না। যদি প্রশ্ন করা হয় সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব কার? এর কোনো জবাব নেই। অর্থাৎ জবাবদিহিতা না থাকায় এ অবস্থা হচ্ছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ ওই পরিবারের খোঁজ নিয়েছে কিনা জানা যায়নি। যদি খোঁজ নিয়ে থাকে তবে কোনো ব্যবস্থা নেবে কিনা তা তাদের ব্যাপার। যদি পরিবারে কেউ থাকে তাহলে তাদের সান্তনার জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
স্বাআলো/এস