জরায়ু ও স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে সচেতনতা প্রয়োজন

প্রতি বছর জরায়ু ও স্তন ক্যান্সারে দেশে আক্রান্ত হন ২১ হাজার বিবাহিত নারী। এর মধ্যে সাত হাজার মারা যান জরায়ু ক্যান্সারে এবং পাঁচ হাজার মারা যান স্তন ক্যান্সারে। এই রোগ থেকে রক্ষা পেতে হলে মানুষকে সচেতন হতে হবে।

২০ সেপ্টেম্বর যশোরের মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আয়োজিত অবহিতকরণ সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

সভায় আরো জানানো হয়, জরায়ু ও ক্যান্সারের ভয়াবহতা কামাতে সরকার বিনামূল্যে প্রত্যেক হাসপাতলে ভিয়াল ইন্সপেকশন উইথ এসেটিক এসিড টেস্টের ব্যবস্থা করেছে। প্রত্যেক বিবাহিত নারীকে ৩০-৬০ বছর বয়সের মধ্যে এই পরীক্ষা করানো উচিত। এটি জরায়ুর মুখের ও স্তন ক্যান্সার নির্ণয়ের একটি উল্লেখযোগ্য পরীক্ষা। এ টেস্টের মাধ্যমে জরায়ুর মুখে ক্যান্সার হওয়ার পূর্বেই অবস্থান জানা যায়। হাসপাতালে বিনামূল্যে পরীক্ষার পর কারো রিপোর্ট পজিটিভ হলে উপজেলা পর্যায় থেকে তাদের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রোগী চিকিৎসা নিলে ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা পান। জরায়ু ও স্তন ক্যান্সারের ভয়াবহতা বোঝানো গেলে নরীরা এ পরীক্ষা করাতে আগ্রহী হবেন।

এসব পরামর্শ মেনে চললে জরায়ু ও স্তন ক্যান্সার থেকে নিজেকে দূরে রাখা সম্ভব। ক্যান্সার অবহিতকরণ সভা করার উদ্দেশ্য হল মারাত্মক ও প্রাণঘাতী এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেয়া। চিকিৎসকরা মনে করেন, নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ক্যান্সারের রোগ তাড়াতাড়ি ধরা পড়ে এবং সেক্ষেত্রে চিকিৎসা সহজ হয়। ক্যান্সারের লক্ষণগুলো নির্ভর করে ক্যান্সারটি কোথায়, এটি কতটা বড় এবং এটি কাছাকাছি কোনো অঙ্গ বা টিস্যুকে কতটা প্রভাবিত করে কি না। ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়লে শরীরের বিভিন্ন স্থানে লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তারা বলেন, ক্যান্সার বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন। এটা কী ধরনের রোগ, কী কী কারণে ঝুঁকি বাড়ে, প্রতিরোধের জন্য কী কী করণীয় সে বিষয়ে সচেতনতা জরুরি।

স্বাআলো/এসএস