পারিবারিক কলহের জেরে চুয়াডাঙ্গার সুমিরদিয়া গ্রামে স্বামীর রডের আঘাতে স্ত্রী সাদিয়া খাতুন ওরফে নয়ন তারার (৩৫) মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সাড়ে ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় সুমিরদিয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস চুমি(১৭) আহত হয় ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সময় স্বামী আনোয়ার হোসেন পারিবারিক কলহের জের ধরে লোহার রড দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করে। এতে সাদিয়া খাতুন গুরুতর জখম হয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করেন। ওই সময় তাদের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস চুমি (১৭) ঠেকাতে গেলে তাকেও তার পিতা রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এ ঘটনায় সে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। এ ঘটনার পর ঘাতক আনোয়ার হোসেন বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীরা ঘটনার কথা জানতে পেরে আহত মেয়েকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে সে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। নিহতের মরদেহ সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। মরদেহ বর্তমানে সদর হাসপাতালের মর্গে আছে।
আহত মেয়ে টুনি বলেন, আমার বাবা আমাদের দেখাশুনা করতো না। সংসারের কোনো খরচ দিতো না। এ নিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে গণ্ডগোল প্রায়ই হতো। বাধ্য হয়ে আমরা নানা বাড়ি চলে যায়। প্রায় ১০/১২ দিন নানা বাড়ি থাকার পর গতকাল রাতে বাড়িতে আসি। রাতের খাবার খেয়ে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এ সময় বাবা বাড়িতে এসে মায়ের সাথে তর্কাতর্কি হলে এক পর্যায়ে রড দিয়ে মায়ের মাথায় আঘাত করে। এতে মা ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান লালন জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবৎ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ বিরাজ করছিলো। এরই জের ধরে স্ত্রীকে মাথায় রড দিয়ে আঘাত করে আনোয়ার। ঘটনাস্থলেই স্ত্রী মারা যায়। রডের আঘাতে মেয়ে টুনিও আহত হয়। এ ঘটনার পরেই অভিযুক্ত স্বামী আনোয়ার পালিয়ে যায়। পুলিশ অভিযুক্তকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে। এ ঘটনায় আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন ।
স্বাআলো/এসএ