যশোরে সংবাদ সম্মেলন, কর্মবিরতির ঘোষণা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারদের

যশোরে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের কম্পেজিশনের সুরক্ষা, পদোন্নতি, পদসৃজন, স্কেল আপগ্রেডেশন ও আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরাসনসহ একগুচ্ছ দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন জেলা বিসিএস সাধারণ শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) প্রেসক্লাব যশোরে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলন করেন।

দাবিগুলো দ্রুত আদায়ের লক্ষ্যে তিনদিনের কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।

বিসিএস শিক্ষক সমিতির জেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম লিখিত বক্তব্যে এ ঘোষণা দেন।

তিনি জানান, বিসিএস শিক্ষক সমিতির দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হলে আগামী ২ অক্টোবর একদিন দেশব্যাপী একযোগে কর্মবিরতি পালন করা হবে। তারপর ১০, ১১ ও ১২ অক্টোবর পর পর টানা তিনদিনের কর্মবিরতি পালন করা হবে।

এরপর পর্যায়ক্রমে আরো কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে শিক্ষকরা যোগ্যতার ভিত্তিতে এসেছেন সবাই। কিন্তু প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা বৈষম্য সৃষ্টি করে রেখেছেন। শিক্ষা ক্যাডারে ৪র্থ গ্রেডের উপর কোনো পদ রাখা হয়নি। অথচ অন্য ক্যাডার কর্মকর্তারা পঞ্চম গ্রেড থেকে সরাসরি তৃতীয় গ্রেডে পদোন্নতি পান। ২০১৫ সালে পে স্কেলে শিক্ষকরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে এলে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী ও মূখ্যসচিবের একটি কমিটি গঠন করে দ্রুততার সাথে নতুন পে স্কেলের মাধ্যমে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন।

ওই কমিটির সুপারিশে মাত্র ৯৮ জন তৃতীয় গ্রেড পান। শিক্ষা ক্যাডারকে কর্মকালকে নন ভেকেশন সার্ভিস ঘোষণা করতে হবে। দীর্ঘ ৯ বছর ধরে ১২ হাজার ৪৪৪টি পদ সৃজনের প্রস্তাব এখনো আলোর মুখ দেখেনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- যশোর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অমল কুমার বিশ্বাস, এমএম কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আবু বক্কর সিদ্দিকী, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক প্রফেসর মদন কুমার সাহা, বিসিএস শিক্ষক সমিতির এমএম কলেজ শাখা সাধারণ সম্পাদক নিতিশ কুমার কর্মকার, সরকারি মহিলা কলেজের প্রফেসর ইকবাল আনোয়ার, প্রফেসর শামিমা আক্তার প্রমুখ।

স্বাআলো/এস