খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শেষ বর্ষের এক ছাত্রের সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ফাইনাল প্রফের ছাত্রী ফাতেমা খাতুনের। এ সম্পর্কের টানাপোড়েনে প্রেমিককে লাইভে রেখে সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ফাতেমা আত্মহত্যা করেন।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজের একটি সূত্র ফাতেমার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ ছাত্রী ফাতেমা খাতুনের গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের রামপালে। তিনি কলেজে ভর্তি হওয়ার পর কলেজ হোস্টেলে ছিলেন। পরে ব্যক্তিগত সমস্যার কথা জানিয়ে কলেজ হোস্টেল ছেড়ে কলেজের পাশে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। সেখানেই তিনি আত্মহত্যা করেন।
তবে তার প্রেমিক খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শেষ বর্ষের ওই ছাত্রের পরিচয় এখনো পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ফাতেমা খাতুনের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারাও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তার বাবা ফরিদ সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা। তিনিও ফাতেমার বিষয়ে কথা বলতে অনাগ্রহ দেখিয়েছেন।
খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজে দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, ফাতেমাকে খুন করা হয়েছে। তিনি এমবিবিএস ফাইনাল প্রফ পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। আর কয়দিন পরেই যিনি স্বীকৃত একজন ডাক্তার হয়ে যেতেন তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এ ঘটনার বিচার দাবি করা হয়েছে।
ফাতেমা খাতুনের অকাল মৃত্যুতে তার শিক্ষক ও সহপাঠীদের মাঝে শোকের ছাড়া নেমে এসেছে। ইশরাত নিশি নামে তার এক সহপাঠী ফাতেমার আত্মার শান্তি কামনা করে বলেছেন, সাপ্লিমেন্টারী/এক্সামের জন্য কেউ মরে না। মানুষ মরে যায় তার আশেপাশের পরিবেশের চাপে।
স্বাআলো/এস