ভিসা নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নেই গণমাধ্যম: মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর

গণমাধ্যমের ওপরও মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগ করা হবে-বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের এমন বক্তব্যের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।

সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান স্পষ্ট করেন।

রবিবার বেসরকারি একটি টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাৎকারে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছিলেন, গণমাধ্যমকর্মীদের ওপরও এ ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করা হবে। এ প্রসঙ্গে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক ম্যাথিউ মিলারকে প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ২৪ সেপ্টেম্বর জানিয়েছেন নতুন ভিসা বিধিনিষেধে মিডিয়া ব্যক্তিত্বও অন্তর্ভুক্ত হবে এবং এই নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

এ প্রেক্ষাপটে পশ্চিমা গণমাধ্যমে কাজ করা একজন সাবেক সদস্য উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বজায় রাখার পরিপন্থি। আপনি কি মনে করেন না, এই নিষেধাজ্ঞা যদি মিডিয়াতে প্রয়োগ করা হয়, তাহলে মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আহবানকে দুর্বল করবে?

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমি মনে করি আমরা (ইতোমধ্যেই) যা বলেছি এবং কার জন্য এটি প্রযোজ্য হবে তা আমরা নির্দিষ্ট করে কোনো সদস্য বা নির্দিষ্ট ব্যক্তির নাম ঘোষণা করিনি। কারণ মার্কিন ভিসার রেকর্ডগুলো গোপনীয় তথ্য। তবে, এটি স্পষ্ট করে দেয়া হয়েছে যে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ক্ষমতাসীন দল এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের জন্য এই নীতি প্রযোজ্য হবে।

স্বাআলো/এস