দেশে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে চিনি রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে ভারত। এর আগে গম, চাল ও পেঁয়াজ রফতানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করে দেশটি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, দেশটির ভোক্তাবিষয়ক অধিদফতর এ ধরনের রফতানি নিষেধাজ্ঞার পক্ষে অবস্থান করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, আউটবাউন্ড শিপমেন্টে বা রফতানিতে বিধিনিষেধ বা খুব সীমিত কোটায় থাকতে পারে।
বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, আগামী ১ অক্টোবর থেকে চিনির মৌসুম শুরু হবে। কাজেই সে সময়ে পরিস্থিতি বিবেচনা করে অক্টোবরের মাঝামাাঝি চিনি রফতানির অনুমতি দেয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে ভারত।
চলতি বছরের আগস্টে ভারতের খুচরা মূল্যস্ফীতি ছিলো ৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ। যেখানে জুলাইয়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিলো ১১ দশমিক ৫১ শতাংশ, যা আগস্টে কমে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশে নামে। তবে আগস্ট এবং সেপ্টেম্বরেও দেশটিতে চিনির দাম বেড়েছে। মূলত আগস্টে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩৬ শতাংশ কম বৃষ্টিপাতের কারণে দেশটির অন্যতম প্রধান চিনি উৎপাদক রাজ্য মহারাষ্ট্রের নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে চরম খরার কারণে ফসল উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে।
দ্য ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, ২০২৩-২৪ মৌসুমে ভারতের চিনি উৎপাদন ৩ দশমিক ৩ শতাংশ কমে ৩১ দশমিক ৭ মিলিয়ন টন হতে পারে।
তাই ক্রমবর্ধমানভাবে বাড়তে থাকা চিনির দামে অসন্তুষ্ট কেন্দ্রীয় সরকার চিনি শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের জন্য বাধ্যতামূলক মজুতের পরিমাণ প্রকাশের নির্দেশ জারি করেছে। একই সঙ্গে সেপ্টেম্বর মাসে জন্য নির্ধারিত কোটার অতিরিক্ত ১৩ লাখ টন চিনি বাজারে সরবরাহের ব্যবস্থাও করেছে সরকার।
নতুন মৌসুমে বাজারে পর্যাপ্ত চিনির সরবরাহ থাকবে বলেই আশা করছে সরকার। পাশাপাশি আগামী বছরেও কোনো ঘাটতি হবে না বলে আশ্বাস দেয়া হয়েছে। ভারতের খাদ্যসচিব সঞ্জিব চোপড়া বলেছিলেন, দেশে ৮৫ লাখ টন চিনি করেছে, যা সাড়ে তিন মাসের জন্য যথেষ্ট। কাজেই আসন্ন উৎসব মৌসুমে চিনির দাম বাড়বে না।
তবে তার সত্ত্বে স্থানীয় বাজারে দামের লাগাম টেনে ধরতে এবং সরবরাহ নিশ্চিতে রফতানি বিধিনিষেধ আরোপের কথা ভাবছে ভারত।
২০২২-২৩ মৌসুমে প্রায় ৬ মেট্রিক টন চিনি রফতানির অনুমতি দিয়েছে ভারত সরকার, যা আগের বছর একই সময়ে ছিলো ১১ মেট্রিক টন।
স্বাআলো/এসএস