অবরোধে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি, সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস

বিএনপি-জামায়াতের অবরোধে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। নষ্ট হচ্ছে দেশের সম্পদ। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমদানি-রফতানি।

সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় আরো বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম। এমন পরিস্থিতিতে অর্থনীতি সংকটে পড়ছে।

অর্থনৈতিক মন্দায় বিনিয়োগসহ নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে ব্যাংক-বীমা-পুঁজিবাজারে। একই সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ আর্থিক খাতগুলো ছাড়িয়ে শিক্ষাসহ সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা বিভিন্নভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে অবরোধে দেশের শিল্পো উৎপাদন ও ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা।

তাদের মতে, অবরোধের আগুনে মানুষের সঙ্গে পুড়ছে অর্থনীতিও। অবরোধ ও হরতালে পরিবহন, কৃষি, পোশাক ও উৎপাদন শিল্পসহ অন্য খাতগুলোর ক্ষতি দিন দিন বাড়ছে। মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে শিল্পের উৎপাদনসহ দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি। একই সঙ্গে পরিবহন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় তৈরি পোশাক রফতানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

বিএনপি-জামায়াতের পাঁচদিনের অবরোধে ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্তত ৩২ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। এছাড়া যানবাহনে আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষতি হয়েছে আরো অন্তত ২৫ কোটি টাকা।

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, নির্বাচন এলেই এক ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি হয়, যার খেসারত দিতে হয় পুরো দেশকে। এবারো সংঘাত দেখা দিয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে–এই সংঘাত কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে। সংঘাত চরম আকার নিলে তার অর্থনৈতিক প্রভাব হবে ব্যাপক।

স্বাআলো/এস