ধান পাকার আগ মুহূর্তে কারেন্ট পোকায় ফসল শেষ করছে

সাতক্ষীরার আমন ক্ষেতে ধান পাকার আগ মুহূর্তে কারেন্ট পেকার উপদ্রব দেখা দিয়েছে। এতে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। কারণ তারা নানা ধরনের কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোনো ফল পাচ্ছেন না। এলাকার মানুষের মুখের গ্রাস কেড়ে খাচ্ছে পোকায়। অতিকষ্টে উৎপাদিত আমন ধানের শীষ বের হবার সময় পোকায় ফসল সাবাড় করছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, পোকা যে ক্ষেতে লাগছে সেই ক্ষেত রাতারাতি শেষ করে ফেলছে। একজন কৃষক জানান, তিনি ১৫ বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছেন। তার অর্ধেক ইতোমধ্যে পোকায় সাবাড় করেছে। ওই জমিতে আবাদ করতে তার খরচ হয়েছে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা। এতে কোনো রকমে তার উৎপাদন খরচটা উঠতে পারে। ধান চাষে তার সারা মৌসুমের পরিশ্রম পণ্ড হয়ে যাবে। এই এলাকার কৃষিজাত ফসলের মধ্যে ধানই প্রধান। অতীতকাল থেকে এখানে ধান চাষ হয়ে আসছে। এখানকার ভূমি প্রকৃতি ধান চাষের জন্য উপযোগী। গ্রাামবাসীর অর্থনৈতিক অগ্রগতি সবই ধানকে ঘিরে। কিন্তু হালে এর চাষাবাদ করতে গিয়ে কৃষকরা বিপর্যয়ের মুখে পড়ছেন। নানা রকম রোগবালাইয়ের কারণে তারা সর্বস্বান্ত হচ্ছেন।

আমাদের কৃষি বিভাগ শক্তিশালী বলে একটা খ্যাতি আছে। এই খ্যাতিতো আর আপনা আপনি রক্ষা হয় না। এর জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কর্মে নিষ্ঠার পরিচয় দিতে হয়। অতীতে যারা দায়িত্বে ছিলেন নিশ্চয় তাদের শ্রম মেধা ও কর্মনিষ্ঠার ফলে এই বিভাগটি একটি সেরা বিভাগে পরিণত হতে পেরেছিলো। এখন যারা দায়িত্বে আছেন তারা হয়তো কাজের প্রতি উদাসীন। ফসল এভাবে নষ্ট হয়ে যাবে তা হতে পারে না। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এ অবহেলার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা আজ ফুসছে। কৃষি কর্মকর্তাদের অবহেলার জন্য এত বড় ক্ষতি হচ্ছে কৃষকদের । তারা তো মাস গেলি ঠিকই বেতন পাচ্ছে। উপায়হীন কৃষকরা নীরব দর্শক হয়ে হা- হুতাশ করে কাটাচ্ছেন।

কৃষক মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল ফলায়। সেই ফসল আমরা খেয়ে জীবন ধারণ করি। আমরা মনে করি সরকারি দায়িত্ব নিয়ে ক্ষেতের আলে যাওয়া কোনো নিচু কাজ নয়, দেশ সেবার সবচেয়ে বড় কাজ এটি। কৃষকরা অপরিসীম খেটে ফসল উৎপাদন করতে পারে ঠিকই, কিন্তু তারা জানে না ও বোঝে না ফসলের রোগ বালাই দমনে কি ব্যবস্থা নিতে হয়। এ ক্ষেত্রে কৃষি বিভাগের উচিত ফসল উৎপাদনে সমস্যা সংকটে কৃষকের পাশে দাঁড়ানো