ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশ তালা দেয়নি।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকালে দুর্বৃত্তদের অগ্নিসন্ত্রাসে দগ্ধদের চিকিৎসার খোঁজ নিতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
আপনারা ২৮ তারিখের পর থেকে নিরাপত্তার খাতিরে বিএনপি কার্যালয় ঘিরে রেখেছেন এবং সেটি এখনো তালাবদ্ধ আছে। এই অবস্থায় একটি রাজনৈতিক কার্যালয় আর কত দিন বন্ধ থাকবে, যেহেতু আর কিছু দিন পরেই তফসিল ঘোষণা করা হবে, গণমাধ্যমকর্মীরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বিএনপি কার্যালয়ে তাদের নেতাকর্মীরাই তালা মেরে রেখেছে এবং তারা এখন সেখানে আসে না। কেনো আসে না, সেটা তারাই ভালো বলতে পারবেন। আমাদের পুলিশ সেখানে সব সময়ই থাকে, নিরাপত্তার জন্য, একাবারে ১২ মাস, আল্লাহর ৩০ দিনই কিন্তু সেখানে পুলিশ প্রহরায় থাকে। সেই একইভাবে পুলিশ প্রহরা আছে।
হাবিবুর রহমান আরো বলেন, তারা যদি এখানে অফিস খোলে, কার্যক্রম করে, তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আপত্তি কখনোই ছিলো না।
একটি অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে তারা বিএনপি অফিস অবরুদ্ধ করে রেখেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, পুলিশই তালা লাগিয়েছে, তাই তাদেরই খুলে দিতে হবে।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুসারে ১৩ দিনে ৫৫টি গাড়ি পোড়ানো হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত উপস্থিতি থাকার পরও এ ক্ষেত্রে পুলিশ কী ব্যবস্থা নিচ্ছে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এই অবরোধ কর্মসূচিতে পুলিশ দিন-রাত রাস্তায় আছে, কাজ করে যাচ্ছে। বাসের মালিক-শ্রমিক, স্থানীয় জনগণ আমাদের সহযোগিতা করছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছি, যেসব জায়গায় মানুষ বাসে ওঠে এবং বাস থেকে নামে এসব জায়গায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ বাসে উঠে ছবি তুলে রাখছে, ড্রাইভার হেলপাররাও ছবি তুলে রাখছে।
অগ্নিসন্ত্রাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই নৃশংসতা যারা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণের সকল প্রক্রিয়া চলমান। ইতোমধ্যে আমরা হাতেনাতে ১৩ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি এবং অন্যান্য আরো কয়েকজন গ্রেফতারসহ এই অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা এই নৃশংস কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছেন, তারা যেখানেই লুকিয়ে থাক কাউকেই কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেয়া হবে না।
স্বাআলো/এসএ