এ বেদনা বহন করা দুঃসহ

নিয়তির নির্মম পরিহাস কক্সবাজারের টেকনাফে বৃষ্টিতে মাটির দেয়ালচাপায় একই পরিবারের ৪ জন নিহত হয়েছেন। ১৭ নভেম্বর দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে হ্নীলা মৌলভীবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, ফকির আহমদের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৫০), ছেলে সাইদুল মোস্তফা (২০), দুই মেয়ে নিলুপা বেগম (১৮) ও সাদিয়া বেগম (১১)।

ওই পরিবারে স্বজন হারানের বেদনায় কাঁন্নার মত কেউ হয়তোবা আর কেউ নেই। কিন্তু এলাকার সর্বস্তরের মানুষকে কাঁদিয়ে গেছে। কারণে এ বেদনা বহন করা দুঃসহ। আর তাই কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি। দরিদ্র পরিবার। আর তাই সেই সাবেক আমলের মাটির ঘরে এখনো তারা বাস করতেন। দিন এনে দিন খাওয়া পরিবার ছাড়া আর কারো এমন ঘর নেই। যে যতটুকু পারে সে ততটুকু পাকা ঘর করে নেয়। কিন্তু ফকির আহমদ তা পারেনি।

বিষয়টি এমন হৃদয় স্পর্শী যে বিপর্যস্থ যোগাযোগ ব্যবস্থা উপেক্ষা করে প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে গেছেন। তারা বলেছেন, পরিবারটিতে যদি কেউ বেঁচে থাকে তাহলে তাদেরকে সহযোগিতা করা হবে। এখানে ক্ষতিপূরণ কথাটা শোভন নয়। কারণ জীবনের হারানো কোন ক্ষতি পূরণ হয় না। আমরা বলবো যদি কেউ বেঁচে থাকেন তাহলে সর্বাগ্রে তাদের নিরাপদ আবাসের ব্যবস্থা করতে হবে। চাল, আটা, তেল, ডাল কোন সহযোগিতা নয়। আমার যতদূর জানি মাটির ঘর নিবাসীর সংখ্যা বেশি নয়। হত দরিদ্র ছাড়া কেউ এমন ঘরে বাস করে না। গরিব দুঃখী সবাইকে নিয়ে আমাদের চলতে হবে। জনদরদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সেই নীতি ধারণ করেছেন। আর তাই দেশজুড়ে গৃহহীনদের পাকা ঘরের ব্যবস্থা করছেন। এই সাথে হাতে গোণা দরিদ্র মানুষকে বিপদের ঝুঁকিতে ভরা মাটির দেয়াল থেকে সরিয়ে আনতে হবে। এমন কাজটি বর্তমান সরকারই পারবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।