নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর-নড়াইল মহাসড়কের তারাগঞ্জ এলাকায় যাত্রীবাহী একটি বাস (ঢাকা মেট্রো ব ১২-৩০১৪) বাস উল্টে দুইজন মারা গেছেন।
সোমবার (২৭ মে) এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার পর প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।
নিহতদের মধ্যে একজন হলেন বাসের যাত্রী সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার নীলকণ্ঠপুর গ্রামের আছান আলীর ছেলে হাশেম আলী (৪০)। অপরজন ওই বাসের সুপারভাইজার। তিনি ঢাকার জুরাইন শ্যামপুর এলাকার নাসিরুদ্দিনের ছেলে তৌফিকুর রহমান (২৪)।
যশোরে তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল
এছাড়া কম বেশি আহত হয়েছেন ৩-৪ জন। তারা সবাই একই এলাকার বাসিন্দা। যাত্রীরা চট্টগ্রামের রাউজানের একটি ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। সেখান থেকে বাড়ির উদ্দেশে ফিরছিলেন।
ওই বাসের যাত্রী আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমাদের বাড়ি সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ ও আশাশুনি উপজেলায়। আমরা ৪০ জন চট্টগ্রামের রাউজান থেকে রবিবার সন্ধ্যায় সেন্টমার্টিন পরিবহনের একটি রিজার্ভ বাসে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে যাচ্ছিলাম। গোপালগঞ্জে আসার পর বাসের চালক ঘুমাতে যায়। এসময় তিনি বাসের হেলপারের কাছে গাড়ি চালাতে দেন। বৃষ্টির মধ্যে বাসের হেলপার বেপরোয়া গতিতে চালাচ্ছিলো। সোমবার সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার দিকে তারাগঞ্জ এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে বাসটি উল্টে যায়। এসময় বাসের সুপারভাইজার ও একজন শ্রমিক নিহত হন। আহত আরো পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতের খালাত ভাই মফিজুল ইসলাম বলেন, আমরা ইটভাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতাম। আট মাস পর বাস রিজার্ভ করে বাড়ি ফিরছিলাম। দুর্ঘটনায় খালাতো ভাই হাশেম আলী ও বাসের সুপারভাইজার নিহত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল বর্তমানে যশোরে স্থলভাগে অবস্থান করছে
এ বিষয়ে যশোর সদরের চাঁদপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আমিনুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। রাস্তার ধারে একটি বড় রেইনট্রির গুঁড়ি ফেলা রয়েছে। এ কারণে রাস্তা সংকুচিত হয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। বাস উল্টে দুইজন মারা গেছে বলে জানতে পেরেছি। দুর্ঘটনার পর প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এখন যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
পৃথক ঘটনা সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিজিবি ক্যাম্পের সামনে একটি কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রফুল্ল কুমার (৬০) আহত হন। আহতকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রফুল্ল মারা যান।
নিহত প্রফুল্ল কুমার যশোর শহরের নীলগঞ্জ এলাকার সন্তোষ সাহার ছেলে।
স্বাআলো/এস