নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে চার ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে। এ সময় তাদের কাছে একটি দেশীয় এলজি, দুইটি ছোরা, একটি গ্রিল কাটার, একটি হাতুড়ি ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি উদ্ধার করা হয়।
রাত পোহালেই নোয়াখালীর তিন উপজেলায় ভোট
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার একাধিকস্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের কালা মিয়া ছৈয়াল বাড়ির সুমন (৩৮), একই ইউনিয়নের পূর্ব মাইজচরা গ্রামের সৈয়দ আলম (২৯), লক্ষীপুরের চর পোড়াগাছা ইউনিয়নের নোমানাবাদ কলোনীর বেলাল হোসেন (৪০) ও চট্রগ্রামের কর্ণফুলী থানার চরলক্ষ্যা গ্রামের মোহাম্মদ নুর গোষ্ঠী নতুন বাড়ির সাইফুল ইসলাম (৩০)।
নোয়াখালীতে কাল থেকে শুরু হচ্ছে দুই দিনব্যাপী কবিতা উৎসব
পুলিশ জানায়, গত ১৬ মে ভোর রাতের দিকে বেগমগঞ্জের লাকুড়িয়া কান্দি গ্রামের সিরাজ মিয়ার বাড়ির রুহুল আমিন মিয়ার টিনশেড বিল্ডিং ঘরে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই সময় অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন ডাকাত ঘরের লোকজনদের মারধরসহ অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে ঘরে থাকা ১৮ লাখ ৭৬ হাজার ২০০ টাকার মালামাল লুণ্ঠণ করে নিয়ে যায়। এ দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় দায়েরকৃত এজাহারের ভিত্তিতে বেগমগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ অভিযানে নামে।
জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে পুলিশ উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের ফেনী-লক্ষ্মীপুর জাতীয় মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে সরুগো পুল নামক স্থানে রাস্তার উপর চেকপোস্ট স্থাপন। ওই সময় চৌমুহনীর দিকে দুইটি সিএনজি দ্রুত গতিতে আসতে দেখলে পুলিশ সিএনজি দুইটিই থামার জন্য সংকেত দেয়। থামানোর সংকেত দেয়ার পরেও সিএনজটি ঘটনাস্থল থেকে চৌমুহনীর দিকে চলে যায়। পিছনের সিএনজির ড্রাইভারও সংকেত না মেনে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ সিএনজির পিছনে ধাওয়া করে। এ সময় সিএনজিতে থাকা চারজন আসামি কৌশলে পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক পুলিশ ধাওয়া করে সিএনজিতে ড্রাইভার হিসেবে থাকা এক নং আসামি সুমনকে সিএনজিসহ আটক করে। পরে গ্রেফতার আসামির তথ্যমতে চৌমুহনী রেল স্টেশন ও চৌমুহনী ফলপট্রি থেকে অপর আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।
আফ্রিকায় নিজ দোকানের সামনে নোয়াখালীর যুবককে গুলি করে হত্যা
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গ্রেফতার ডাকাতেরা ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথাও স্বীকার করে। আসামিদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্যান্য আসামি গ্রেপ্তারসহ লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারের জন্য অভিযান পরিচালনা অব্যাহত আছে। গ্রেফতার আসামিরা পেশাদার ডাকাত। তারা বিভিন্ন সময় নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন থানাসহ এর আশেপাশের জেলা ও থানাসমূহে ডাকাতি করে বেড়ায়।
স্বাআলো/এস