ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে বরগুনার পাথরঘাটার নিম্নাঞ্চলের অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পাশাপাশি বিধ্বস্ত পাঁচ হাজার ঘরবাড়ি। চরম ভোগান্তিতে পানিবন্দি দিন কাটাচ্ছে কয়েক হাজার পরিবার।
উপজেলার সদর, চরদুয়ানি, ও কাকচিড়া ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকায় কয়েক হাজার কাঁচা ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। ঘরের ভেতর পানি থাকায় জ্বলছে না চুলা। ফলে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন দুর্গত এলাকার মানুষ।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান খান জানান, রেমালের তাণ্ডবে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গাছ উপড়ে পড়ে প্রায় পাঁচ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে তিন হাজার ৫৫০টি আংশিক ও ১৩৫০টি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়াও মৌসুমে ফসল ও মাছের ঘেরের ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে অন্তত ২০টি গ্রাম।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গত রবিবার থেকে পাথরঘাটায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে উপজেলার ৫৮ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
সদর ইউনিয়নের গহরপুর এলাকায় ইউপি সদস্য শাহ আলম খান বলেন, রেমালে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমার এলাকা। এখানে প্রায় পাঁচশ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। স্যানিটেশনসহ সুপ্রিয় পানির অভাবে ভুগছে শত শত পরিবার।
এদিকে পাথরঘাটা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিম্নাঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য শুকনো খাবার দেয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। তার ওপর রাস্তাঘাট চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে শুকনো খাবারও পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকনুজ্জামান খান বলেন, ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জিআর ৯ টন চাল ও নগদ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। আরো ৩৫ টন চাল ও নগদ ছয় লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে যা বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বিতরণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এছাড়াও বেসরকারি নানা প্রতিষ্ঠান সাধ্যমতো ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াচ্ছে।
স্বাআলো/এস