ঢাকা অফিস: রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গতকাল শনিবার (২৩ মার্চ) রাতে বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে কয়েক জায়গায় বজ্রপাতসহ শিলাবৃষ্টি হয়েছে। অবশ্য গত মঙ্গলবার থেকেই কমবেশি বৃষ্টি হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলে সাধারণত নগরীর বায়ুদূষণের মাত্রা কম থাকে।
তবুও রবিবার (২৪ মার্চ) সকালে বিশ্বের ১০০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ১১তম। আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে সকাল সাড়ে আটটার দিকে ঢাকার স্কোর ১৫২। বায়ুর এ মান অস্বাস্থ্যকর হিসেবে ধরা হয়।
বায়ুদূষণের এই পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক আইকিউএয়ারের সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতোটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে।
আইকিউএয়ার সম্প্রতি ২০২৩ সালের বিশ্বের বায়ুদূষণ পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে। সেখানে দেখা যায়, বায়ুদূষণে গত বছর বাংলাদেশ শীর্ষে ছিলো। দ্বিতীয় স্থানে পাকিস্তান। আর রাজধানী শহর হিসেবে বিশ্বে দ্বিতীয় ছিলো ঢাকার স্থান। আর শীর্ষে ছিলো দিল্লি।
আজ রবিবার সকালে বিশ্বে বায়ুদূষণে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে আছে ভারতের নয়াদিল্লি ও কঙ্গোপ্রজাতন্ত্রের কিনসাসা। শহর দুইটির স্কোর যথাক্রমে ২৭৩ ও ১৬৮।
আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়।
আইকিউএয়ারের দেয়া আজকের তালিকায় বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই (পিএম ২.৫) দূষণের প্রধান উৎস। আজ রবিবার ঢাকার বাতাসে যতোটা এই বস্তুকণা আছে, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ডের চেয়ে ১১ গুণের বেশি।
ঢাকার বায়ুদূষণ থেকে বাঁচতে আইকিউএয়ার যে পরামর্শ দিয়েছে, তার মধ্যে আছে বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। বাসার বাইরে গিয়ে ব্যায়াম না করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। দূষণ থেকে রক্ষা পেতে ঘরের জানালা বন্ধ রাখারো পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
বায়ুদূষণ বেশি হলে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন সংবেদনশীল গোষ্ঠীর ব্যক্তিরা। তাঁদের মধ্যে আছেন বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা ও জটিল রোগে ভোগা মানুষেরা। তাঁদের প্রতি বিশেষ যত্নবান হয়া দরকার বলে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
স্বাআলো/এসআর