spot_img

স্বামীর হাতেই ৩ বছর আগে খুন হন চিকিৎসক সাবিরা

ঢাকা অফিস: পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহের জেরে স্বামী এ কে সামছুদ্দিন আজাদের হাতেই চিকিৎসক কাজী সাবিরা রহমান খুন হন বলে তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ।

হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে সামছুদ্দিন গ্রেফতার হলেও এখন তিনি জামিনে আছেন। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) এই হত্যাকাণ্ডের তিন বছর পূর্ণ হচ্ছে।

মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তারা বলেছে, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে সাবিরা হত্যায় সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা সামছুদ্দিনের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩০ মে সকালে রাজধানীর কলাবাগানে নিজ বাসায় শোবার ঘর থেকে চিকিৎসক সাবিরা রহমান ওরফে লিপির (৪৬) রক্তাক্ত ও দগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার গলা কাটা, পিঠে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও পোড়া ছিলো। তিনি রাজধানীর বেসরকারি গ্রিন লাইফ হাসপাতালের কনসালট্যান্ট (সনোলজিস্ট) ছিলেন।

ঝিকরগাছার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সাবিরা নাজমুল আটক

পিবিআইয়ের কর্মকর্তারা জানান, সাবিরার বাসায় তিনটি কক্ষ ছিলো। একটি কক্ষে সাবিরা নিজে এবং বাকি দুইটিতে কানিজ সুবর্ণা ও নুরজাহান নামে দুই তরুণী থাকতেন। সাবিরাকে আরবি পড়াতেন নুরজাহান। হত্যাকাণ্ডের আগে তিনি বাড়িতে গিয়ে আর ফেরেননি। তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসায় প্রশাসনে (বিবিএ) পড়তেন।

সাবিরা হত্যা মামলার তদন্ত তদারক পিবিআইয়ের ঢাকা মেট্রো উত্তরের বিশেষ পুলিশ সুপার (বর্তমানে অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে সামছুদ্দিনকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিলো। সাবিরা ও সামছুদ্দিনের আগের পক্ষের সন্তান ছিলো। কিন্তু স্বামীর সন্তানকে মেনে নিতে পারেননি সাবিরা।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আবার সাবিরার সঙ্গে বিয়ের আগে সামছুদ্দিন আরো দুইটি বিয়ে করেন। কিন্তু তিনি একটি বিয়ের তথ্য গোপন করেন। বিষয়টি জানার পরই স্বামীর সঙ্গে সাবিরার বিরোধ চরমে পৌঁছায়। সাবিরা কলাবাগানে আলাদা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। তবে তার ওপর সামছুদ্দিনের ক্ষোভ ছিলো। এ কারণে তিনি সাবিরাকে খুন করেছেন। তার সঙ্গে আর কেউ ছিলেন কিনা, তা জানতে তদন্ত চলছে।

সূত্র বলছে, স্বামীর সঙ্গে সাবিরার কলহের বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। ঘটনার দিনও রাত ১০টা ২৮ মিনিট থেকে দীর্ঘ সময় মেসেঞ্জারে দুইজনের ঝগড়া হয়েছিলো। ওই দিন সামছুদ্দিনের গাড়ি চালক সাইফুল তার শান্তিনগরের বাসায় ছিলেন। এর আগে গাড়ি চালক কখনো সামছুদ্দিনের বাসায় ছিলেন না।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা মেট্রো উত্তরের পরিদর্শক জুয়েল দেওয়ান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ও পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে পিবিআই নিশ্চিত, সাবিরাকে তার স্বামীই হত্যা করেছেন। আগের দিন রাতে দুইজনের মেসেঞ্জারে ২৬ মিনিট ঝগড়া হয়। পরদিন মরদেহ উদ্ধারের সময় সামছুদ্দিনের মুঠোফোন বন্ধ ছিলো। তিনি গোপনে কলাবাগানে সাবিরার বাসায় যেতেন। তদন্ত শেষে মামলার প্রতিবেদন প্রকাশ করবে পিবিআই।

স্বাআলো/এস

Share post:

সাবস্ক্রাইব

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

সর্বাধিক পঠিত

আপনার জন্য
Related

কালকের কারফিউ নিয়ে যে নির্দেশনা

ঢাকা অফিস: ঢাকা, গাজীপুর, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জে কারফিউ বহাল...

বিজিবির কঠোর নিরাপত্তায় জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল শুরু

ঢাকা অফিস: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কঠোর নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম,...

কাল সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মবার্ষিকী

ঢাকা অফিস: প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের...

ট্রেনের টিকিটের টাকা ফেরত দিচ্ছে রেলওয়ে

ঢাকা অফিস: কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে যাত্রা বন্ধ হয়ে...