চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে উদযাপিত হচ্ছে ঈদ

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সৌদি আরবে পবিত্র ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা গেছে। সে অনুযায়ী আজ সৌদি আরবসহ মধ্য প্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশে উদযাপিত হবে মুসলমানদের অন্যতম সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর।

আর সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জসহ ৪০ গ্রামেও পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার ও চট্টগ্রামের মির্জাখিল দরবার শরীফের অনুসারীরা।

এদিন সকালে সাদ্রা ঈদগাঁহ মাঠে ঈদের জামায়াতের ইমামতি করেন, সাদ্রা দরবার শরীফের বর্তমান পীর মাও. মুফতি জাকারিয়া আল মাদানী। এছাড়াও অন্যান্য মসজিদে ঈদের জামায়াতের মেঝো হুজুর মাও. আবু বকর ইসমাইল, সেজো হুজুর মাওলানা আবুল খায়ের, আরিফুর রহমান সাদ্রাভীসহ সকল সাহেবজাদাগণ।

সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঝিনাইদহে ঈদ উদযাপন

জানা গেছে, ১৯২৮ সাল থেকে হাজীগঞ্জের রামচন্দ্রপুর মাদরাসার তৎকালীন অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রোজা, পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পবিত্র ঈদুল আযহা পালন উদযাপন শুরু করেন। এরপর থেকে চাঁদপুরের ৪০ গ্রামের মানুষ রোজা ও আগাম ঈদ পালন করে আসছেন। তবে তারা বলছেন, সৌদি আরব নয়, তারা চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করেই রোজা ও ঈদ পালন করে থাকেন।

স্থানীয়রা জানান, হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, দক্ষিণ বলাখাল, নিলাম বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বড়কুল, অলিপুর, উচ্চঙ্গা, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাশারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট।

মতলব উপজেলার মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ কচুয়া ও শাহরাস্তির কয়েক গ্রামসহ চাঁদপুরের পার্শ্ববর্তী নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, বরিশাল,পটুয়াখালী, বরগুনা, শরীয়তপুর ও চট্টগ্রাম জেলার কয়েকটি স্থানে মাও. ইছহাক খানের অনুসারীরা একদিন আগে ঈদ উদযাপন করেন।

যেসব দেশে উদযাপন হচ্ছে ঈদ

এছাড়াও চট্টগ্রামের মির্জাখিল দরবার শরীফের অনুসারী হিসাবে মতলব উত্তরে পাঁচানী, বাহেরচর পাঁচানী, আইটাদি পাঁচানী, দেওয়ানকান্দি, লতুর্দী, সাতানী ও দক্ষিণ মাথাভাঙ্গা, আমিয়াপুর, মধ্য ইসলামবাদ, গাজীপুুর, মধ্য এখলাছপুর (বড়ইকান্দি), ফরাজীকান্দি, রামদাশপুর, চরমাছুয়া, হাজিপুর, দক্ষিণ রামপুর, সরকারপাড়া ও ঠাকুরপাড়া অনেকে সৌদিআরবের সাথে পবিত্র ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা পালন করে থাকেন।

এ বিষয়ে সাদ্রা দরবার শরীফের বর্তমান পীরের ছেলে সাহেবজাদা ড. বাকী বিল্লাহ্ মিশকাত চৌধুরী সংবাদকর্মীদের বলেন, সৌদিআরব নয়, কোরআন ও হাদিসের আলোকে চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে আমরা রোজা পালন ও ঈদ উদযাপন করে থাকি।

এ সময় তিনি জানান, আজ বুধবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনে প্রয়োজনী সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

স্বাআলো/এস

Share post:

সাবস্ক্রাইব

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

সর্বাধিক পঠিত

আপনার জন্য প্রস্তাবিত
Related

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশে ক্ষুব্ধ মন্ত্রী, যাবেন আপিলে

ঢাকা অফিস: দেশের অধিকাংশ এলাকার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে...

আরো কমলো সোনার দাম

ঢাকা অফিস: চরম অস্থিতিশীলতা পরিলক্ষিত হচ্ছে সোনার বাজারে। চলতি...

কাল যশোরসহ ২৭ জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ

ঢাকা অফিস: সারাদেশে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে আগামীকাল মঙ্গলবার (৩০...

ওষুধের দাম বাড়ানো বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

ঢাকা অফিস: খেয়াল-খুশিমতো ওষুধের দাম বাড়ানো বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন...