সম্পদকীয়: যশোরের শার্শা সীমন্তেÍ তল্লাশি চালিয়ে আবারো চয়ন হোসেন নামে এক যুবকের শরীর থেকে ৭০ লাখ টাকা মূল্যের ছয়টি সোনার বার জব্দ করা হয়েছে।
আটক পাচারকারী চয়নের বাড়ি শার্শা উপজেলার গোগা গ্রামে। বিজিবি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সোনা পাচারকারী চয়ন বিত্তবান না। এরপরও সে ৭০ লাখ টাকার সোনা পাচার করছিলো। এত টাকা সে কোথায় পেলো। এ কথার উত্তর কেউ দিতে পারে না।
বিজিবি আইন অনুযায়ী তাদের ধরেছে। আইন অনুযায়ী তারা বিচারে দোষী প্রমাণীত হয়ে সাজা পাবে। যদি এত টাকা তারা কোথায় পেল কে এই টাকার মালিক তা অনুসন্ধান করে মালিককে ধরা হতো তাহলে সোনা পাচার বন্ধ হতো বলে ধারণা করা হয়।
সোনা পাচারের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কড়াকড়ি ব্যবস্থা নিলেও তা থেমে নেই। এক শ্রেণির মানুষ এ অবৈধ কাজটি করেই যাচ্ছে। তাদের আচরণ দেখলে মনে হয় তারা তারা যেন বৈধ ব্যবসা করছে। আর তাই সব কঠোরতাকে তারা ড্যামকেয়ার ভাব দেখাচ্ছে।
সোনা চোরাচালানে মূল হোতারা থাকে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তারা টাকার বিনিময়ে লোক দিয়ে পাচার করেন। যাদেরকে আমরা সমাজপতি হিসেবে মান্য করি। তারা মঞ্চ দখল করে নীতি কথা আওড়ায়। যারা ধরা পড়ছে তারাও ভালো কেউ নয়। কর্মসংস্থানের হাজারো দুয়ার খোলা থাকলেও সেদিকে না গিয়ে চোরাচালানের পথে আসা নিঃসন্দেহে অপরাধ।
যারা দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে, মানুষের অকল্যাণে চোরাচালান ব্যবসা করেও সমাজের মধ্যমণি হয়ে হয়ে বসে আছে তাদের কালো হাত আগে ভাঙতে হবে।
যদি তারা নির্বিঘ্নে থাকে তা হলে শত প্রতিকুলতার মধ্যেও চোরাচালান চলতে থাকবে। চোরাচালানীরাতো হিতাহিত জ্ঞান শূন্য মানুষ নামের অদ্ভুত প্রাণি। তারা চোরাচালান করতে গিয়ে ধরা পড়লে তাদের জীবন শেষ এ কথাটি তাদের মাথায় থাকে না। এ ক্ষেত্রে আমাদের কথা হলো চোরাচালানের শীর্ষের শক্তিকে আগে প্রতিহত করা হোক।
স্বাআলো/এস