বিদেশি কোনো প্রভুর ইন্ধনে বিএনপি ভারত বিরোধিতা করছে: শেখ পরশ

ঢাকা অফিস: বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় যেই ভারত আমাদের শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে, আমাদের অস্ত্র দিয়ে, প্রশিক্ষণ দিয়ে আমাদের সাহায্য করেছে, তাদের এখন বিরুদ্ধাচারণ করছে বিএনপি। নিশ্চয়ই অন্য কোনো বিদেশি শক্তির উসকানি এবং প্রতিশ্রুতিতে এই অবস্থান নিয়েছে তারা।

বুধবার (২৭ মার্চ) ঈদ উপলক্ষে যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার (খাদ্য ও বস্ত্র) বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এ দিন দুপুর ২টায় উত্তরা-১২নং সেক্টর কল্যাণ সমিতি মাঠে এসব উপহার সামগ্রী তুলে দেয়া হয়।

উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান বাবুল।

বিএনপির মন্ত্রীদের বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ালে বর্জনের কথা বিশ্বাস করবো: প্রধানমন্ত্রী

প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সৃষ্টি হয়েছিলো জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। বাংলাদেশের জনগণের সাথে আওয়ামী লীগের নাড়ির সম্পর্ক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর মুজিবুর রহমান দীর্ঘ ২৪ বছর জেল-জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে এ দেশের মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য। সে কারণে এদেশের জনগণকে আমরা সবসময় আমাদের সাথে পাই। এ দেশের জনগণ চরম বিপদের সময় আওয়ামী লীগের পাশে ছিলো এবং থেকে আসছে। ২০০১ সালের পর শত অত্যাচার, নির্যাতন ও হত্যার রাজনীতি করেও ওরা নৌকার ভোটারদের টলাতে পারেনি। এই সংগঠনের ভিত্তি অনেক শক্ত।

তিনি বলেন, জনগণ থাকে সেই সকল রাজনৈতিক দলের সাথে যারা দেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে, দেশকে গড়ার স্বপ্ন দেখায়। আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এই দেশকে গড়ার স্বপ্ন বুকে ধারণ করে, তাই আওয়ামী লীগের সাথে এই দেশের মানুষ আছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়ে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার যোগ্যতা রাখে। তাই জননেত্রী শেখ হাসিনা একনাগাড়ে চারবার রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করছে। এই যোগ্যতা অর্জন করতে হলে মানুষকে ভালবাসতে হয়, দেশের মানুষের প্রতি সহমর্মী হতে হয়, দুর্নীতি পরিহার করতে হয়, এই যোগ্যতা অর্জন করতে হলে রাষ্ট্র পরিচালনার দক্ষতা প্রদর্শন করতে হয়। দক্ষতা নেই বলে নেতিবাচক রাজনীতির দিকে বিএনপি ধাবমান। তাই ওরা দেশকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।

আওয়ামী লীগের অধীনে জিয়া বেতনভুক্ত কর্মচারী ছিলেন: প্রধানমন্ত্রী

এই স্বাধীনতার মাসে ওরা ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে, কিন্তু অন্যদিকে খোঁজ নিয়ে দেখবেন তাদের বেগম সাহেবরা ভারত যাচ্ছে ঈদের শপিং করতে। মুক্তিযুদ্ধের সময় যেই ভারত আমাদের শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে, আমাদের অস্ত্র দিয়ে, প্রশিক্ষণ দিয়ে আমাদের সাহায্য করেছে তাদের এখন বিরুদ্ধাচারণ করছে। নিশ্চয়ই অন্য কোন বিদেশি শক্তির উসকানি এবং প্রতিশ্রুতিতে এই অবস্থান নিয়েছে বিএনপি। কিন্তু লাভ হবে না, বেঈমানদের কেউই বিশ্বাস করে না, ইতিহাসও ক্ষমা করে না। স্বার্থ হাসিল করে ছুড়ে ফেলে দেবে, ক্ষমতায় বসাতে পারবে না যতদিন জনগণ শেখ হাসিনার সাথে আছে।

তিনি যুবলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের সামনে অনেক কাজ। আমাদের প্রধান কাজ, জনগণের পাশে থাকা। শেখ হাসিনা যেই রাজনৈতিক মানদণ্ড স্থাপন করেছেন সেটা অনুসরণ করতে হবে। সততা এবং নিষ্ঠার সাথে গণমানুষের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করে যেতে হবে। আমাদের আগামীতে এই দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কোন জনবিচ্ছিন্ন সুশীল সমাজের পূর্বনির্ধারিত সুশাসনের সংজ্ঞা দ্বারা আমাদের পরিচালিত হতে হবে না। আমাদের সুশাসনের সংজ্ঞা জননেত্রী শেখ হাসিনা রচিত করেছেন ইতোমধ্যে, সেটা হচ্ছে মানবিকতা, ন্যায়পরায়ণতা ও স্বচ্ছতা। আজকে ওরা হত্যা, জেল-জুলুমের কথা বলে, আওয়ামী লীগ ২১ বছর সব ধরণের নির্যাতন সহ্য করেছে। হত্যার শিকার হয়েছে, বাড়ি-ঘর আগুন দিয়েছিল, জেলা-জুলুম কোনো কিছুই বাদ ছিলো না। ২১ বছর পর ১৯৯৬-তে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পেয়ে বিজয় মিছিলও করেনি যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। এই সংযমের প্রতিদান কি পেয়েছি আমরা? ২৫ হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী সমর্থকদের হত্যা করেছিল ওরা ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও নারী-শিশু নির্যাতন করেছিলো পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আদলে।

বিএনপি-জামায়াত সরকার এ দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়েছিল, আর শেখ হাসিনা সরকার জঙ্গিবাদ এ দেশ থেকে নির্মূল করে দিয়েছে। জিয়াউর রহমানের আমলে প্রতি রাতে সেনা কর্মকর্তাদের বিনা বিচারে ফাঁসি দেওয়া হতো। এ ভাবে আড়াই হাজার সেনা কর্মকর্তাকে ফাঁসি দেয়া হয়েছিলো। আজকে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীদের হাতে গঠিত সংগঠনের নেতারা গণতন্ত্র চাচ্ছে। যাদের জন্মের মধ্যেই গণতন্ত্র নাই, তারা গণতন্ত্রের কথা বলছে। ওদের জন্মই হয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করার মাধ্যমে। একজন স্বৈরাশাসকের পকেট থেকে যে দলের সৃষ্টি তারা গণতন্ত্র চাচ্ছে। তাদের জন্মটা কোথায় এবং কীভাবে হয়েছে, তারা কি ভুলে গেছে?

স্বাআলো/এস

আপনার জন্য প্রস্তাবিত
Related

বিএনপি থেকে ৭৩ নেতাকর্মী বহিষ্কার

ঢাকা অফিস: দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে...

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে বিএনপির শিক্ষা নেয়া উচিত: কাদের

ঢাকা অফিস: বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর...

বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া: কাদের

ঢাকা অফিস: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন,...

উপজেলা নির্বাচনে নির্দেশ না মানলে সময়মতো সাংগঠনিক ব্যবস্থা: কাদের

ঢাকা অফিস: উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয় এবং...