নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে মাদক মামলায় তিন ব্যবসায়ীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন পৃথক দুইটি আদালত।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক জয়ন্তী রানী দাস ও দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সোহানী পূষণ এই রায় দিয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, যশোর শহরের চাঁচড়া রায়পাড়ার সাথী বেগম ও আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী মহিতন বেগম এবং শার্শা উপজেলার বেড়ি গ্রামের পশ্চিমপাড়ার রনি আহম্মেদ।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১১ মে শার্শা থানা পুলিশ উপজেলার উলাশী নীলকুঠি পার্কের সামনে অভিযান চালিয়ে সন্দেহজনকভাবে রনি আহম্মেদকে আটক করা হয়। এ সময় তার হাতে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে ১০০ গ্রাম করে পাঁচটি প্যাকেটে ৫০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় এসআই মামুনুর রশিদ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে শার্শা থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে এসআই ইমরুল হুসাইন আসামি রনি আহম্মেদকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি রনি আহম্মেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত রনি আহম্মেদ জামিনে মুক্তি পেয়ে বর্তমানে পলাতক রয়েছে।
অপর দিকে, ২০১২ সালের ১৮ জানুয়ারি চাঁচড়া ফাড়ির পুলিশ রেলগেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে মহিতন ও সাথীকে আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে ১২০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় হাবিলদার সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে মাদকদ্রব নিয়ন্ত্রণ আইনে আটক দুইজনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে আটক দুইজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তোফায়েল আহম্মেদ। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি মহিতন ও সাথীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই মাস করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত সাথী কারাগারে আটক আছে।
স্বাআলো/এস