জেলা প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ: জেলার সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়নের সুতলিয়া গ্রামে আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে কৃষক আবু বক্করের শেষ অবলম্বনটুকু।
পুড়ে মারা গেছে পাঁচটি মহিষ ও একটি গরু। আয়ের একমাত্র অবলম্বন পুড়ে ছাই হওয়ার পর পথে পথে ঘুরছেন কৃষক আবু বক্কর।
জানা যায়, পরিবারে স্বচ্ছলতা আনতে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে বাড়িতে গরু আর মহিষের খামার করেছিলেন কৃষক আবু বক্কর।
পাঁচটি মহিষ ও একটি গরু লালন-পালন করতেন তিনি। গত ১৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টার দিকে হঠাৎ তার গোয়ালে আগুন ধরে যায়। মুহুর্তে তার পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে পুড়ে মারা যায় কৃষক আবু বক্করের পাঁচটি মহিষ ও একটি গরু। পরদিন বাড়ির পাশের মাঠে মৃত গরু ও মহিষগুলো মাটিচাপা দেয়া হয়।
ঝিনাইদহে বৃষ্টির আশায় নামাজ আদায়, কেঁদে বুক ভাসালেন মুসল্লিরা
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক আবু বক্কর বলেন, আগুনে আমার ছয় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ছোট খামার করেছিলাম্। আগুনে আমার সব শেষ হয়ে গেছে। আমি এখন কি করবো, কোথায় যাবো। ঋণের টাকা কিভাবে পরিশোধ করবো। আশা ছিলো গরু আর মহিষগুলো বড় করে বিক্রি করে যা লাভ হতো তা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করে বাড়তি টাকা দিয়ে সংসার চালাবো। এখন তো আমার সব শেষ। আমি পথে বসে গেছি।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: মনোজিৎ কুমার মন্ডল বলেন, আগুনে কৃষক আবু বক্করের অপুরণীয় ক্ষতি হয়েছে। আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কোনো সহযোগিতা পেলে অবশ্যই তাকে দেয়া হবে।
স্বাআলো/এস