আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাপুয়া নিউ গিনিতে বিশাল ভূমিধসের পর ৬৭০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা রবিবার(২৬ মে) এএফপিকে এ কথা বলেছেন।
জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থার প্রতিনিধি সেরহান আক্তোপ্রাক বলেছেন, দেড় শতাধিক ঘর চাপা পড়েছে। ৬৭০ জনের বেশি মানুষকে মৃত বলে ধরে নেয়া হয়েছে। এছাড়া পোর্ট মোরসবি থেকে জরুরি কর্মীদের দলের তত্ত্বাবধানকারী অ্যাক্টোপ্রাক বলেছেন, সেখানে ভূমি এখনো পিচ্ছিল। ফলে পরিস্থিতি ভয়ানক। পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তাই জড়িত প্রত্যেকের জন্য বিশাল ঝুঁকি রয়েছে।
এছাড়া প্রতিকূল ভূখণ্ড, ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা এবং কাছাকাছি উপজাতীয় সহিংসতার প্রাদুর্ভাব দুর্যোগ অঞ্চলে সাহায্য পাওয়ার প্রচেষ্টাকে গুরুতরভাবে বাধাগ্রস্ত করেছে।
এএফপির প্রতিবেদন অনুসারে, এনগা প্রদেশের একসময়ের জমজমাট পাহাড়ি গ্রামটি প্রায় সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হয়ে যায়, যখন স্থানীয় সময় শুক্রবার ভূমিধস আঘাত হানে। এতে বহু ঘরবাড়ি এবং ভেতরে ঘুমন্ত মানুষ চাপা পড়ে। ভূমিধসের দুই দিনেরও বেশি সময় পর মাউন্ট মুঙ্গালোর মুখে খালি পায়ে কাদামাখা গ্রামবাসীরা এখনো বেলচা, কুড়াল ও অন্যান্য অস্থায়ী সরঞ্জাম ব্যবহার করে প্রিয়জনদের সন্ধান করছে।
দুর্যোগকর্মী ওমর মোহামুদ রবিবার ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। তিনি এএফপিকে বলেন, পরিস্থিতি সত্যিই ভয়ানক, মানুষ হতবাক ও শোকগ্রস্ত। ভূমি এখনো পিচ্ছিল। আপনি পাহাড় থেকে পাথর নিচে পড়তে দেখতে পাচ্ছেন।
বিশ্বব্যাংকের মতে, পাপুয়া নিউ গিনিতে বিশ্বের অন্যতম আর্দ্র জলবায়ু রয়েছে।
দেশটির আর্দ্র উচ্চভূমির অভ্যন্তরে সবচেয়ে ভারি বর্ষণ হয়। এছাড়া গবেষণায় দেখা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত বৃষ্টিপাতের ধরন পরিবর্তন করা ভূমিধসের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। এ বছর ইতিমধ্যে পাপুয়া নিউ গিনিতে ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও বন্যা দেখা দিয়েছে।
স্বাআলো/এস