জেলা প্রতিনিধি,চুয়াডাঙ্গা: জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার খোরদ গ্রামে মোটরসাইকেলের সঙ্গে লাটাহাম্বারের মুখোমুখী সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালক টুটুল (১৮) ঘটনাস্থলেই নিহত ও তার অপর দুই আরোহী মিলন হোসেন (২৫) এবং জব্বার আলী আহত হয়েছে।
দুর্ঘটনাটি ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দিনগত।
নিহত টুটুল আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের ইলিয়াস হোসেনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ গনি মিয়া জানান, নিহত টুটুলের বাবা ইলিয়াস হোসেন এদিন বিকালে চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে টাইলস কিনে একটি যানবাহনে গ্রামে ফিরছিলো।
ভালাইপুর বাজারের অদূরে টাইলস পরিবহন করা পরিবহনটি বিকল হয়ে যায়। সেটা মেরামত করতে দেরী হওয়ায় ইলিয়াস হোসেন তার ছেলে টুটুলকে ডেকে নেয়। টুটুল একটি মোটরসাইকেলযোগে বাড়ী থেকে বের হয়ে মিলন ও জাব্বারক নিয়ে ভালাইপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথে হাটবোয়ালিয়া সড়কের খোরদ গ্রামের কবরস্থানের সামনে তারা পৌঁছুলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি লাটাহাম্বারের সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখী সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলেই টুটুল নিহত হয়।
পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনায় নিহত টুটুলের লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয় এবং আহত মিলন হোসেন ও জব্বার আলীকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হাসানুজ্জামান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মিলন হোসেন ও জাব্বার আলীকে রাত প্রায় ১১টার দিকে জরুরী বিভাগে নিয়ে আসা হয়।
আহতদের মধ্যে মিলন হোসেনের জখম গুরুত্বর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে এবং জাব্বার আলীকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ গনি মিয়া আরো বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় ও পরিবারের সদস্যদের লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশ দাফনের জন্য হস্তান্তর করা হয়।
স্বাআলো/এস