খুলনা ব্যুরো: খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করা তরুণী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
শুক্রবার (৮ মার্চ) রাতে খুলনার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ এর বিচারক রনক জাহান জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
জবানবন্দি শেষে ওই তরুণীকে তার পরিবারের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। তবে জবানবন্দিতে ধর্ষণের বিষয়ে তিনি কী বলেছেন জানা যায়নি।
ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুকান্ত কুমার সাহা বলেন, আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার বিকেলে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তরুণী ও তার মাকে বাড়ি থেকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছিলো। শুক্রবার আদালতে পাঠালে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ২২ ধারায় তিনি জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে আজকে বন্ধের দিন হওয়ায় আদালতের নির্দেশ পাইনি। তাই জবানবন্দিতে কি উল্লেখ করেছেন, আর সেই প্রেক্ষিতে আদালত কি আদেশ দিয়েছেন এই ব্যাপারে কিছু বলতে পারবো না। রবিবার (১০ জানুয়ারি) এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
তিনি জানান, জবানবন্দি গ্রহন শেষে আদালত ওই তরুণীকে তার পরিবারের জিম্মায় দিয়েছে।
এর আগে বুধবার দুপুরে খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১–এ ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলার আবেদন করেন তরুণীর দূর সম্পর্কের খালাতো ভাই সোলাম রসুল সরদার।
আদালতটি ডুমুরিয়া থানাকে মামলাটি গ্রহণের নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার ওই তরুণীকে উদ্ধারে অভিযান চালায় র্যাব ও পুলিশ।
পরে পুলিশ তরুণী ও তার মাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সারারাত থানায় অবস্থানের পর শুক্রবার বিকাল ৩টায় তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
স্বাআলো/এস