spot_img

বাদামের সাথে কাউন চাষে সফল বীরগঞ্জের রেজানুর

প্রদীপ রায় জিতু, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দেশে কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার প্রতিনিয়ত বাড়ছেই। উন্নত তথ্য-প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিলুপ্তপ্রায় কৃষিপণ্য চাষাবাদে আগ্রহ বাড়ছে। এক সময় দেশের উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলে কাউন আবাদ হতো। পাশাপাশি উত্তর বঙ্গের প্রায় বেশ কিছু এলাকায় কাউনের আবাদ হতো। আবার এক সময় গরিবের প্রধান খাদ্যও ছিলো এ কাউন।

বীরগঞ্জে ১৬৭ জনকে শিক্ষাবৃত্তি ও ১৮ জনকে বাইসাইকেল বিতরণ

দিনের পর দিন মানুষের খাদ্যাভাস পরিবর্তনের পাশাপাশি মানুষের অবস্থারও পরিবর্তন ঘটেছে। ফলে এখন আর সেভাবে এসব অঞ্চলে কাউন চাষ হয় না। কাউনের জায়গা দখল করে নিয়েছে বাদাম, ভূট্টা, বোরো ধানসহ বিভিন্ন প্রকার অর্থকারি ফসল। কালের আবর্তে কাউন চাষ হারিয়ে গেলেও বর্তমানে উন্নত তথ্য-প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে উঁচু জমিতে বাদামের সাথে কাউন চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জের রেজানুর ইসলাম রেজা নামে এক তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা।

ইউটিউব ও বিভিন্ন অনলাইন জার্নালের মাধ্যমে স্বল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় এ ফসল চাষের দিকে ঝুঁকছেন তিনি।

বীরগঞ্জের উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন বিপু

উপজেলার শিবরামপুর ইউনিয়নের মুরারিপুর গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা রেজানুর ইসলাম রেজা প্রথমবারের মতো প্রায় সাড়ে তিন একর উঁচু জমিতে বারি-৬ জাতের বাদাম আবাদ করেছেন। এরমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে দেড় একর জমিতে বাদামের সাথে তিতাস জাতের কাউন চাষ করে বেশ সফলতা পেয়েছেন।

তিনি জানান, বর্তমান সরকার কৃষি খাতকে স্মার্ট কৃষি হিসেবে গড়ে তুলতে চান। সরকারের এই উদ্যোগকে কাজে লাগিয়ে ইউটিউব ও বিভিন্ন অনলাইন জার্নালের কলাম পড়ে বাদামের সাথে কাউন চাষ শুরু করি। কৃষিতে পূর্ব ধারণা না থাকায় বিষয়টি আমার জন্য কঠিন ছিলো। বাদাম এবং কাউন একসাথে চাষ করা তেমন সহজ ছিলো না। এলাকার কৃষকরা তেমন একটা উৎসাহ জোগায়নি। তবে আমি কিন্তু নিরাশ হইনি এবং থেমেও যায়নি।

দিনাজপুরে বাঁশের চালে’ রান্না হচ্ছে ভাত-পায়েস

বাদামের সাথে কাউন চাষে খুব স্বল্প খরচেই করা সম্ভব। একই সাথে চাষ করার ফলে সেচ অনেক কম লাগে। খুব একটা রোগবালাই না থাকলেও ইঁদুরে উপদ্রবে ফসল নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে। আগে থেকে বীজ সংগ্রহ করলে বীজের কম দামে পাওয়া যাবে। এখন পর্যন্ত সাড়ে তিন একর জমিতে বাদাম চাষে সব মিলে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বাদামে প্রতি বিঘায় ১২-১৪ মণ এবং কাউনে প্রতি বিঘায় আট-১০ মণ সফল হবে বলে আশা করেন। বর্তমান বাজার হিসাবে প্রায় চার-পাঁচ লাখ টাকা আয় হতে পারে বলে আশা করেছেন তিনি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, বাদামে সাথে কাউন চাষে বেশ ঝুঁকি রয়েছে। এটি চাষাবাদে অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন। তবে এই তরুণ কৃষি উদ্যোক্তার এই উদ্যোগটি সফলতার মুখ দেখেছে। তার সফলতা আমাদের কৃষকদের উৎসাহিত করবে। এ ব্যাপারে কৃষি অফিস সার্বক্ষণিকভাবে সহযোগিতা প্রদান করে আসছে।

প্রেমের টানে চুয়াডাঙ্গা থেকে দিনাজপুরে স্কুলছাত্রী, বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকি

দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা সহ উত্তরাঞ্চলে এক সময় প্রচুর কাউন চাষ হতো। কাউন চাষ তেমন দেখা না গেলেও কাউনের চালের নানা ধরনের খাবার ধনীদের বিলাসী খাবারে পরিণত হয়েছে।

স্বাআলো/এস

Share post:

সাবস্ক্রাইব

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

সর্বাধিক পঠিত

আপনার জন্য
Related

১৬ কোটি টাকার সাপের বিষ উদ্ধার

জেলা প্রতিনিধি, দিনাজপুর: দিনাজপুরের বিরামপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারকালে...

শিক্ষার্থী নিহতের প্রতিবাদে বীরগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল

প্রদীপ রায় জিতু, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায়...

নদীতে নিখোঁজ দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার

জেলা প্রতিনিধি, দিনাজপুর: দিনাজপুরের খানসামায় পা পিছলে বেলান নদীতে...

বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রদীপ রায় জিতু, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা...