জেলা প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা: উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার তিনদিন আগে নিম্ন আদালতে বিএনপিসহ সহযোগি সংগঠনের ১০৮ জন নেতাকর্মী জামিনের জন্য আবেদন করেন।
কিন্তু চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জিয়া হায়দার আসামিদের জামিন শুনানি শেষে নামঞ্জুর করতে শুরু করলে অন্য ৫৮ জন নেতাকর্মী আদালত চত্ত্বর থেকে ছটকে পড়েন। তিনজনের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।
দামুড়হুদা, দর্শনা ও জীবননগর থানার পৃথক কয়েকটি নাশকতার মামলার জামিনের জন্য আসেন বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, কৃষকদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশের কোট ইনসপেক্টর নাসির উদ্দিন মৃধা জানান, দামুড়হুদা, দর্শনা ও জীবননগর থানার ২০২৩ সালের নাশকতার মামলার আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগ মূহুর্তে নিম্ন আদালত থেকে স্থায়ী জামিনের জন্য আত্ন সম্পর্ণ করেন বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, কৃষকদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের ১০৮ জন নেতা-কর্মী। জামিন শুনানির এক পর্যায়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জিয়া হায়দার মামলার আসামিদের জামিন না মঞ্জুর করলে অন্যরা আদালত চত্বর থেকে সটকে পড়েন। বিচারক ৪৭ জন আসামির জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। অন্য তিন জনকে বিচারক জামিন মঞ্জুর করেন।
বিকালে বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, কৃষকদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৭ নেতাকর্মীদের পুলিশ প্রহরায় চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে নেয়। আটটি মামলায় ১০৮ জন আসামি নিম্ন আদালতে আসেন জামিন নিতে। ৫৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে আদালত থেকে।
আসামি পক্ষের আইনজীবি ছিলেন আব্দুল খালেক, শাহাজাহান মুকুল, মাসুদ পারভেজ রাসেল।
স্বাআলো/এস